রবিবার, ১৩ Jul ২০২৫, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের প্রতিবাদে চরফ্যাশনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ড. ফয়জুল হকের বিএনপি থেকে পদত্যাগ নিয়ে নাটকীয়তা রায়পুরায় দুই পক্ষের সং,ঘর্ষে আ,হত ফারুকের মৃত্যু নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ মরহুম নূরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল খোকন বললেন: ৫ আগস্ট গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সুযোগ প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময়” – এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে হতদরিদ্র শিশুদের মাঝে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী হিসেবে চারা বিতরণ করা হয়েছে। নরসিংদীর রায়পুরায় মরহুম নূরুল ইসলামের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত দিনাজপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর, আহত শতাধিক ১৯ মামলার আসামি খলিল, এখনো প্রকাশ্যে মাদক সিন্ডিকেটের ছত্রছায়ায়

ঢাকার মিটফোর্ডে চাঁদার জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, বিচার চান নিহত সোহাগের পরিবার

ঢাকার মিটফোর্ডে চাঁদার জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, বিচার চান নিহত সোহাগের পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদন:
ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভয়াবহ চাঁদাবাজির বলি হলেন ব্যবসায়ী সোহাগ। চাঁদা না দেওয়ায় আটকে রেখে নির্মমভাবে মারধর ও পাথর দিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার বিচার দাবি করেছেন।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে নিহত সোহাগের লাশ ঢাকা থেকে বরগুনায় নিজ বাড়িতে আনা হয়। বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

নিহত সোহাগের মেয়ে সোহানা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমরা এখন এতিম হয়ে গেছি, এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াব? বাবাকে যারা হত্যা করেছে, আমরা তাদের বিচার চাই।”

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাত্র সাত মাস বয়সে বাবাকে হারান সোহাগ। মা আলেয়া বেগম ঢাকায় এসে সন্তানদের নিয়ে জীবনযুদ্ধে নামেন। সোহাগ পরে মিটফোর্ড এলাকায় ‘মেসার্স সোহানা মেটাল’ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতেন। পরিবার নিয়ে তিনি কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনের কদমতলী এলাকায় বসবাস করতেন।

নিহতের পরিবারের দাবি, সোহাগের দোকান থেকে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করত একটি প্রভাবশালী চক্র। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা মেরে দেওয়া হয়। গত ৯ জুলাই বিকেলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সোহাগকে ভয়ঙ্কর নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়।

সোহাগের বোন ফাতেমা বেগম জানান, “ভাইয়ের দোকানটা ওদের সহ্য হচ্ছিল না। চাঁদা দিতে না চাওয়ায় ব্যবসা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল। ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।”

স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, “আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত