শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
চাঁদাবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে কি শুধু বহিষ্কারেই সীমাবদ্ধ থাকবে বিএনপি? সাধারণ মানুষের প্রশ্ন
স্টাফ রিপোর্টার
১১ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহাগকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকিকে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। কিন্তু বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত কি যথেষ্ট?—সাধারণ মানুষের মধ্যে উঠেছে তীব্র প্রশ্ন।
দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলেও এখনো পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো আইনি উদ্যোগ বা জবাবদিহিমূলক বিবৃতি দেখা যায়নি। ফলে অনেকেই মনে করছেন, “দল কেবল দায় এড়াতে বহিষ্কার করছে, কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে শক্ত অবস্থান নিচ্ছে না।”
এ ঘটনায় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাধারণ নাগরিকদের একটি বড় অংশ বলছেন, শুধুমাত্র বহিষ্কার করলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। বরং, অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হয়।
জনগণের প্রত্যাশা কী?
চাঁদাবাজি, খুন ও সন্ত্রাসে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে মামলা ও তদন্তে সহায়তা।
দলে কারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে—তা তদন্ত করে প্রকাশ করা।
ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের লোকজন দলে জায়গা না পায়, সে জন্য দলীয় মনোনয়ন ও দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে কঠোর যাচাই-বাছাই।
জনপ্রিয়তা হুমকির মুখে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরণের অপরাধে দলের নাম জড়ালে এবং দল যদি তাতে দায় এড়িয়ে যায়, তাহলে জনআস্থা ভেঙে পড়ে। একাধিক সাধারণ নাগরিক জানিয়েছেন,
> “যদি চাঁদাবাজি করে দলের নাম ব্যবহার করেই কেউ ছাড় পেয়ে যায়, তাহলে বিএনপি আর আওয়ামী লীগে পার্থক্য কী?”
দলের কাছে সময় এখন পরীক্ষা দেওয়ার
দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের আস্থা অর্জনে বিএনপির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। অপরাধীদের চিহ্নিত করে কেবল বহিষ্কার নয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া না হলে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া অবধারিত।