বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
মাধবদীতে জমি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি
–
সৈয়দ আমিনুল ইসলাম : নরসিংদী সদর মাধবদীতে জমি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ উঠেছে জুলফিকার নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। এই চাঞ্চল্য ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড নোয়াপাড়া গ্রামে।
জুলফিকার আলীর দেয়া মামলার নথী থেকে জানা যায়, ১০৭ ধারার অভিযোগ এনে একই পরিবারের ৫জনকে আসামী করা হয়েছে। এই মামলায় রয়েছে ৭০ বছরের প্রবীন ডাক্তার, একজন ব্যাংকার সহ ৫জন পুরুষ। তারা বলেন, সাজানো একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে জুলফিকার। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের দাবী জানাই ও জুলফিকার বাহিনীর হাত আমরা মুক্তি চাই।
সরেজমিনের গিয়ে, মামলার বাদি জুলফিকার আলীর বাড়িতে গেলে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। এসময় স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জুলফিকার আলী ও তার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থীত লোকজন, তারা সব সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবে চলে। বর্তমানের তার ছেলে নির্জন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র দাবী করে এলাকায় বেশ প্রভাব খাটিয়ে গা ঢাকা দিয়ে চলছে।
কথা হয় জুলফিকার এর প্রতিবেশী রাছেল মিয়া ও রোজিনা আক্তার এর সাথে তারা জানান, সামসুল হক এর পরিবারের সাথে জুলফিকারের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে তা যানি। তবে আমরা কোন মারামারি দেখেনী। তারা মামলা করলো কিভাবে বলতে পারেনী কেউ।
মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার ডা: ফজলুল হক ও তার ভাই ডা: সামসুল হক তাদরে ছেলে শামিমুল হক শামিম এবং মো. সানি সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানান, আওয়ামী লীগ সমর্থীত জুলফিকার এর সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ বিষয়ে জমি সংক্রান্ত মামলা হলে সামসুল গংদের পক্ষে মামলার রায় দেয় আদালত। এছাড়া জুলফিকার আলী জমি দাবি করে একটি ভুয়া নামজারি করেন, তাও বাতিল করে সামসুল হক গংদের নামজারি বহাল রাখে আদালত। কিন্তু আইন কাননে না পেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে জুলফিকার।
এদিকে জুলফিকার প্রতিবেদকের মুঠোফোনে কল করে বলেন, ডা: ফজলুল হক ও তার ভাই ডা: সামসুল হকদের বিরোদ্ধে মামলা করা হয়েছে ঠিক আছে। তবে আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় এখন কথা বলা যাচ্ছে না, বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
#
নরসিংদী