রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
রওজা শরীফকে দুধ গোসলের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হলো হযরত গণি শাহ (রঃ ) এর তিন দিনব্যাপী ভক্ত সম্মেলন। দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের ক্রীয়া সম্পাদক রানা মোল্লার শিশু কন্যার সুস্থতা কামনা  বালু খেকোদের হামলার মুখে ম্যাজিট্রেট ও সাংবাদিক  দিঘলিয়ায় তারেক রহমানের নির্দেশে দুঃস্হ এতিমদের মাঝে কম্বল বিতরণ।  বিএনপি নেতাদের সাথে আতাঁত করে ইউপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পলাতক চেয়ারম্যান যুবলীগ ক্যাডার আনিছুর  বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন। নরসিংদী মনোহরদী চালাকচর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ। ভারত যাওয়ার পথে ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রীসহ গ্রেফতার ২ ভারত যাওয়ার পথে ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রীসহ গ্রেফতার ২

বেনাপোল দিয়ে ৯দিনে এক হাজার ৪২১ টন কাঁচা মরিচ আমদানি

বেনাপোল দিয়ে ৯দিনে এক হাজার ৪২১ টন কাঁচা মরিচ আমদানি

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি:

-বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি স্বাভাবিক থাকার পরেও যশোরের শার্শা উপজেলা বেনাপোল বড় খুচরা বাজারে ২০০ টাকা থেকে ২৪০টাকা দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। কারণ, হিসেবে দেশে বন্যা ও গেলো দুর্গাপূজায় টানা পাঁচ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তারপরও গত এক সপ্তাহে ১ হাজার ৪২১ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। সে কারণে দাম বৃদ্ধিতে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানি বাড়লেও আড়তে তেমন কমেনি কাঁচা মরিচের দাম। গেলো দুর্গাপূজায় টানা পাঁচ দিন বন্দর বন্ধ এবং দেশে বন্যাকে পুঁজি করে কাঁচামাল গুদামজাত করে দাম বৃদ্ধি করেছেন আড়তদাররা।

শুক্রবার উপজেলা হাট-বাজার ঘুরে বড় বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপূজার আগে এই সব বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। পূজার ছুটির মধ্যে তা বিক্রি হয়েছে ৬৫০ -৬০০ টাকা কেজি দরে। সেই ধারাবাহিকতায় এখনও ২০০ থেকে ২৪০টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, এই বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মাসের ১৪ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৯ দিনে ১২২ ট্রাকে করে ১ হাজার ৪২১ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। কেনা থেকে শুরু করে শুল্ককর মিলিয়ে আমদানি করা এই মরিচের কেজিপ্রতি খরচ পড়েছে ৯৬-১০০ টাকা। অথচ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে বাজারগুলোতে ২০০থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ। তবে দেশব্যাপী বন্যা এবং পূজা উপলক্ষে বন্দর বন্ধ হওয়ায় মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করছেন সাধারণ বিক্রেতারা।

বেনাপোল বড় বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘চলতি মাসের শুরুতে মরিচ কিনেছিলাম ৯০ টাকা কেজি।মাঝে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে ১ কেজি। আজ দেখছি দেশি ঝাল ২৫০ থেকে টাকা কেজি ভারতীয় ঝাল ২০০ টাকা কেজি । এভাবে চললে আমরা চলবো কী করে?’

আরেক ক্রেতা রফিকুল বারি বলেন, ‘আমরা বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকার বাসিন্দা। শুনছি এবং দেখছি, এই বন্দরে প্রচুর কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। সেই হিসেবে তো ১০০ টাকার নিচে দাম হওয়া দরকার। অথচ এখনও আমাদের প্রায় ২৫০টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ কিনে খেতে হচ্ছে।’

বেনাপোল বড় বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শংকর কুমার বলেন, ‘বেশি দামে মরিচ কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। সব সবজি এবং পেঁয়াজের দামও আকাশছোঁয়া। তবে পূজার কারণে বন্দর বন্ধ থাকায় বাজারে বড় বড় ব্যবসায়ীরা বস্তা বস্তা কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ মজুত করেছিল দাম বেশি পাওয়ার আশায়। আমদানি স্বাভাবিক হলে আবার দাম কমে যাবে।

বেনাপোল বন্দরের পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, ‘পেঁয়াজে তেমন পড়তা না থাকায় এখন কাঁচা মরিচ আমদানি করছি। বর্তমানে কাঁচা মরিচ আমদানি অনেক বেশি পরিমাণে হচ্ছে। বাজারে মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টা শিগগিরই কেটে যাবে। ৯ দিনে ১২২ গাড়ি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।#

প্রেরক:-
মো:মনির হোসেন বেনাপোল প্রতিনিধি যশোর।
তারিখঃ-২৫/১০/২০২৪
মোবা:-০১৮৩৫ ০১৯৪৩১

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত