শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
জমকালো আয়োজনে সাপ্তাহিক আজকের চেতনার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ১৪ জন আটক দিঘলিয়ায় মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ২ যশোরের শার্শায় খেজুরের রস সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা যশোরের শার্শায় “স্বস্তির বাজার” উদ্বোধণ করলেন ইউএনও ভালুকার মাদক সম্রাট রায়হান, আকিব ও ফাহিম গ্রেফতার কয়রায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ভালুকায় মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ যশোরের বেনাপোল মুক্ত দিবস আজ প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যে বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর-বিএনপি নেতা আলহাজ্ব হাতেম খান।

নরসিংদী শহর এলাকার সব বাজারগুলিতেই সবজি ও অন্যান্য পণ্য চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ অসহায়।

নরসিংদী শহর এলাকার সব বাজারগুলিতেই সবজি ও অন্যান্য পণ্য চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ অসহায়।

নরসিংদী থেকে পাঠানো আর এ লায়ন সরকারের তথ্যচিত্রে দেখুন বিস্তারিত

কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির দাম। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বটতলা , শাপলা চত্বর, নরসিংদী বাজার,ভেলানগর, কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শাক-সবজির দাম।
বিক্রেতারা বলেন, বর্ষাকাল কারণে ফলে কিছুটা লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৯০-১০০ টাকা, করলা ১০০-১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শসা ১০০-১২০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৬০-৮০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, টমেটো ৮০-১০০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

আর প্রতিকেজি আলু ৫৫-৬০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা, কহি ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুণতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলেন,বষার অজুহাত দেখিয়ে সবজির দাম এখন নাগালের বাইরে। দুই-একটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম ৫০ টাকার ওপরে। মিন্টু মিত্র নামে এক ক্রেতা বলেন,

৫০ টাকার নিচে সবজি পাওয়াই মুশকিল। সব ধরনের সবজির দাম চড়া। আর কাঁচা মরিচ ও শসা তো নাগালের বাইরে।

এদিকে, বাজারে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায় ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। তবে রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা পর্যন্ত ‍বিক্রি হতে দেখা গেছে।

খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। ভেলানগর বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান,

দেশে এখন বর্ষা মৌসুম অনেক আবাদি জমি বন্যায় তলিয়ে গেছে ফলে মরিচসহ অন্যান্য সবজি কম উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়া ভারত থেকে কম আমদানি হচ্ছে । যে পরিমাণ আমদানি হচ্ছে বেড়েছে ট্রাক ভাড়া। এতে সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে।

আর শাপলা চত্বর বাজারের বিক্রোতাদের দাবি, প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকায়। তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তবে বাজারে লেবুর দাম বাড়েনি। প্রতি হালি ছোট লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। আর বড় সাইজের লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।

বাজারে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। আর প্রতিকেজি দেশি রসুন ২৩০-২৪০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকায়। এছাড়া মানভেদে প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩০০ টাকায়।

এদিকে, মুরগির বাজার কিছুটা নিম্নমুখী হলেও স্বস্তির খবর নেই ডিমের বাজারে। কেজিতে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৬০-২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে একদমই ক্রেতার দেখা নেই। এতে দাম কমিয়ে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই।

বাজারে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। এছাড়া প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২১০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, পাইকারি পর্যায়ে ডিমের দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের ডিম বিক্রেতা রিপন জানান,

বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে ডিমের দাম। এখনও সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিম মিললেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না সাদা ডিম। স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০-৫০ টাকার মতো।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২৩০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০-২৪০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা ও কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

আর প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়ছে ১৮০০-২০০০ টাকা। যদিও ৮০০-৯০০ গ্রাম ইলিশ ১৬০০ টাকা ও ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০-১৪০০ টাকায়।

ক্রেতাদের দাবি, মাছের দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে কোনো পণ্যের দামেই স্বস্তি নেই। একেক সময় একেক অজুহাতে বাড়িয়ে দেয়া হয় পণ্যের দাম।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত