বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
নবীনগর সলিমগঞ্জ প্রতারণা করে জংয়ের জায়গায় পিং সংশোধনের মাধ্যমে জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টার অভিযোগ ভূমি দস্যদের বিরুদ্ধে ।
আর এ লায়ন সরকার এর তথ্যচিত্র দেখুন বিস্তারিত
বিবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বি.এস খতিয়ানে থাকা জং এর স্থলে পিতার নাম প্রতারণা করে সংশোধনের মাধ্যমে জমি আত্মসাৎতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের মৃত দানা মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিন,মোঃ ফরিদ উদ্দিন এর ছেলে মোঃ রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, অর্থের বিনিময়ে এসব ভুয়া ও জাল কাগজপত্র তৈরি করেছেন তারা। এর প্রতিকার চেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে উপজেলা সহকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে গত ০১/০৭/২৪ প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করেছেন, একই ইউনিয়নের মৃত মোঃ দুদুমিয়ার ছেলে মোহাম্মদ দিলরূপ মিয়া মোঃ আব্দুল কাইয়ুমসহ গ্রামের পাঁচজন ভুক্তভোগী। অভিযোগের অনুলিপি, সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা বরাবরে জমা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার বাড়াইল মৌজার অন্তর্গত সিএস খতিয়ানের ৬০ এস এ খতিয়ান নং ৭৯,বিএস নং খতিয়ান ৮৭৭ সি এস এ ৪৯৮ হালে বি এস ১৫৯২ দাগের জমি অভিযুক্তরা জাল বি.আর.এস পর্চায় পিতার নামের মিল থাকায় জংকে পিং সংযুক্ত করে তাদের ভোটার আইডির ফটোকপি, ছবিসহ আবেদনপত্রে একাধিক সাক্ষর দিয়ে ভুয়া একটি পর্চা তৈরি করে অন্যের জমি আত্মসাৎ এর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান আদালতে ১০/০৮২০২২ মোকদ্দমা দেওয়ানি মামলা চলমান থাকা অবস্থায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মোকদ্দমা নং ২২০/২০২৩-২৪মূলে সংশোধন করে নেয়। এ পর্যায়ে সংশোধনের ফলে জমির প্রকৃত মালিকগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে দুই ব্যক্তির নাম এক হওয়ায় জংয়ের জায়গায় পিং বসিয়ে অন্যের জমি আত্মসাৎ করার পায় তারা চালাচ্ছেন ভূমিদস্যুরা।
ভুক্তভোগী জমির মালিক মোহাম্মদ দিলরুপ জানান পৈত্রিক সূত্রে ৩৩ শতাংশ জমি পাঁচ ভাই 4.40 পয়েন্ট করে বোনদের ২. ২০ অংশ করে মোঃ নুর হোসেন পিতা মোঃ ফরিদ মিয়া মুজিবুর রহমান কাঁদল প্রবাসী ঘরসহ মনির হোসেন ঘরসহ মোট ৩৩ এর মধ্য থেকে ১৭ শতাংশ বিক্রি করা হয়েছে তিন ভাই দুই বোনের অংশ।ভূমিদস্যরা স্থানীয় সাংবাদিক, উপজেলা সাভেয়ার কানুনগো ওয়াসিম আকরাম ইউনিয়ন সহকারি (নায়েব) শাহ আলম মিলিতভাবে জমি ক্রয় দাতাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাদা দাবি করে আসছে,চাঁদা না পেয়ে জংকে পিং বানিয়ে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করে আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে আসছে।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে নবীনগর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ওয়াসিম আকরামের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে সহকারী কমিশনার মহোদয়ের মাধ্যমে সঠিক প্রতিবেদন দেওয়া।
সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শাহ আলম (নায়েব) এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমার কাজ ছিল তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া আমি প্রতিবেদন দিয়ে দিয়েছি এ ছাড়া আমি আর কিছু জানি না।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে নবীনগর সরকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটে মোঃ আবু মূছা এর নবীনগর কার্যালয় গেলে অফিসে না পেয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।