বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ইলেকট্রিশিয়ান জুলফিকার ও তার সন্ত্রাসিবাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।
মােঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি //
দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ইলেকট্রিশিয়ান জুলফিকার আলী তার নিজস্ব সন্ত্রাসিবাহিনী দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মূখ খোলার সাহস পাইনি। সে নিরীহ গ্রাহকদের কাছে সংযোগ দেওয়ার নাম করে নানাভাবে অর্থ আদায় করে থাকে।
এমন অভিযোগ করেছেন
উত্তর গোসাইরপুরস্থ দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বোর্ড সভাপতি মোছাঃ মঞ্জুমান আরা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলফিকার আলী বোচাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রণগাঁও গ্রামের মজিবর রহমান ও দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর পাতালশা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। অদ্যবদি তারা নতুন সংযোগের মুখ দেখেনি।
গত ২৬/০৪/২০২৪ তারিখে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এ আয়োজিত আর্থিক অনুদান অনুষ্ঠানে নিজেকে সে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সেক্রেটারী হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সভায় উপস্থিত হয়। গত ২৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আহবানকৃত দরপত্রে বিনা পে-অর্ডারে দরপত্র দাখিল করে। পরবর্তিতে সে কর্মকর্তাদের জিম্মি করে দরপত্রের পে-অর্ডার দাখিল করে। আইন মোতাবেক বিনা পে-অর্ডারে দরপত্র দাখিল করলে তা সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হয়। কিন্তু জুলফিকারের বেলায় তা হয়নি। বিনা পে-অর্ডারে সে এভাবে সব সময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর দরপত্র দাখিল করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বোর্ডের সভাপতি মঞ্জুমান আরা কোতয়ালী থানায় তার বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। যার জিডি নং-১৩৪৩, তাং-২৭/০৮/২০২৪ইং। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে চোরাই ট্রান্সফরমার কিনে তার মালিকানাধীন সাজ টেডার্স নামে ক্যাশ মেমো করে উক্ত চোরাই ট্রান্সফরমার বিক্রি করে আসছে। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুতের অনেক চোরাই ট্রান্সফরমার কিনে তা বেআইনীভাবে বিক্রি করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যে তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জুমান আরা আরো বলেন,
গত ০৪/০৯/২০২৪ইং তারিখে উক্ত সন্ত্রাসীদের গড ফাদার জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে সদর উপজেলার রাণীগঞ্জ মহারাজপুর গ্রামের রাহুল, পিতা-মোসলেম উদ্দিন একটি প্রতারনা মামলা করেন। যার মামলা নং-১১/৫৫৫। অপরদিকে গত ১২/০৯/২০২৪ইং তারিখে রিয়াজ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে একটি প্রতারণার মামলা করেন মামলা নং-জিআর-২৪, ৫৬৮। মামলাটি আদালতে বিচারাধিন রয়েছে।
জুলফিকারের সকল অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মূল মদদদাতা হলেন সদর উপজেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক আব্দুল আজিজ। আজিজের ছত্র ছায়ায় জুলফিকার তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন রকম দুর্নীতি, অপকর্ম ও প্রতারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে এই দুর্নীতিবাজ ও সস্ত্রাসীদের গডফাদার জুলফিকারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মোছাঃ মঞ্জুমান আরা।
সংবাদ সম্মেলনে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এলাকা-৭ এর পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান, সচিব মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ হাসিম আলী, এলাকার-২ এর পরিচালক মোঃ খয়রাত হোসেন, এলাকা-৪ এর পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান, পরিচালক (মনোনীত) রামকৃষ্ণ মুখার্জী ও মহিলা পরিচালক (মনোনিত) জয়ন্তী দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।