সোমবার, ০৭ Jul ২০২৫, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
শিবপুর পুটিয়া ইউনিয়নে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসচেতনতামূলক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত। বোচাগঞ্জে দাদা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জায় বিষপান করা সেই কিশোরীর মৃত্যু মোছাঃ তহমিনা বেগম বিউটি যশোরে বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণসহ দুই চোরাকারবারি আটক। পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এসআই মনির গ্রেফতার। টাঙ্গাইল ঘাটাইল এক শিশু শ্রমিককে চুরির অপবাদে পিটিয়ে হ*ত্যা। আওয়ামী লীগের দোসরদের বিরুদ্ধে বেকু দিয়ে সরকারি বেড়ীবাঁধ কর্তনের অভিযোগ এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি রফতানিসহ সকল কার্যক্রম শুরু বেনাপোল কাস্টমসে ‘কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি চলছে কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ঢাকায় গ্রেফতার। রায়পুরায় বন বিভাগের ২৬ শতাধিক গাছ কেটে অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ: সমঝোতার চেষ্টা চলছে

ঝিকরগাছা গদখালী ফেব্রুয়ারির ৩দিবসে শতকোটি টাকা আয়ের আশা চাষীদের 

ঝিকরগাছা গদখালী ফেব্রুয়ারির ৩দিবসে শতকোটি টাকা আয়ের আশা চাষীদের

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি:-

এই ফেব্রুয়ারিতে বসন্ত, বিশ্ব ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে ফুল চাষে সরব হয়ে উঠেছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালির ইউনিয়ন ফুলের মাঠ। হাতে রয়েছে আর মাত্র কয়েক দিন। এ তিন দিবসে অন্তত শত কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন স্থানীয় ফুল চাষিরা।

 

ফুলের রাজধানী হিসেবে পরিচিত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি, পানিসারা ও আশপাশের এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনিগন্ধা, গাঁদা, লিলিয়াম, জিপসি ও চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা ধরনের ফুল। চলতি মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে ফুলের উৎপাদন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আসন্ন তিনটি বিশেষ দিবস ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন ফুল চাষিরা।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠজুড়ে ফুটেছে নানা রঙের ফুল। চাষিরা দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ফুলের পরিচর্যায়। উৎসব পর্যন্ত ফুল ধরে রাখতে এবং পোকামাকড় ও পচন রোধে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।

 

একই এলাকার ফুল চাষি আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা যারা ফুলের চাষ করি, তারা মূলত উৎসবকেন্দ্রিক চাষ করি। বসন্ত দিবস, ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় বাজার। এ বছর উৎপাদনে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৮ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারব।’

 

আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক চাষি বলেন, ‘উৎসবের বাজার ধরতে গোলাপগুলো ক্যাপ পরিয়ে রাখা হচ্ছে। এছাড়া নানা ধরনের ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে যাতে ফুল নষ্ট না হয়। এ বিক্রির ওপর সারা বছরের লাভ-লোকসানের হিসাব নির্ভর করবে। আশা করছি লাভবান হতে পারব।’

 

ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা গ্রামের চাষি মো:শহিন বলেন, ‘আসন্ন তিনটি দিবস সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি বেশ ভালো। গত মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হলেও এবার ফুলের ভালো দাম পাব বলে আশা করছি।’

 

গদখালি এলাকার চাষি আলমগীর কবির বলেন, ‘আমার জমিতে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ ও লিলিয়াম চাষ করেছি। সব ক্ষেতেই ফুল ভরা। এখন প্রতি পিস জারবেরা পাইকারি সাত থেকে আট টাকা এবং গোলাপ তিন টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সামনে এসব ফুলের দাম তিন গুণ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। এ বছর পাঁ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।’

 

পানিসারা ইউনিয়নের সৈয়দপাড়া গ্রামের ফুল চাষি শাহজাহান কবীর বলেন, ‘আমি পাঁচ বিঘা জমিতে গাঁদা ও দুই বিঘায় রজনিগন্ধা চাষ করেছি। ভালোবাসা দিবসে রজনিগন্ধা ও ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে গাঁদা ফুল বিক্রি করব। এখন ফুল ধরে রাখতে এবং পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ভিটামিন ও কীটনাশক ব্যবহার করছি। আশা করছি এক একটি গোলাপের পাইকারি দাম ২৫-৩০ টাকা করে পাব।’

 

গদখালি ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, ‘এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে দেরিতে চাষাবাদ হলেও ব্যাপক ফুলের উৎপাদন হয়েছে। আসন্ন তিনটি উৎসব ঘিরে ফুল সংরক্ষণের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। ফুলের দাম বাড়তে শুরু করেছে এবং তা আরও বাড়বে। ফলে অন্তত শত কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

 

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, যশোরে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয় এবং এ ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লক্ষাধিক মানুষ জড়িত। আসন্ন বসন্ত, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ব্যাপক ফুল বিক্রি হলে চাষিদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত