বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
অল্প বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় ঘোড়াশাল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের গড়পাড়া ও ভাগ্যের পাড়ার অধিকাংশ রাস্তাঘাট।
আর এ লায়ন সরকার নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি।
অল্প বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় ঘোড়াশাল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের গড়পাড়া ও ভাগ্যের পাড়ার অধিকাংশ রাস্তাঘাট। এক ঘণ্টার বর্ষণে সড়কের বিভিন্ন স্থান পানিতে তলিয়ে যায়। এতে এলাকায় ড্রেনেস ব্যবস্থা না থাকায় মহল্লা নিচু ভূমিতে পানি জমাট বেঁধে থাকে পথচারীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি নিষ্কাশন হয় না।
ভাগেরপাড়া গড়পাড়া ১ কিলোমিটারের মত পানির নিচে তলিয়ে গেলে দেখে মনে হয় যেন বর্ষার নদী; থইথই করছে পানি। চলাচলে বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি খানাখন্দযুক্ত সড়কগুলি প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় মহল্লা রাস্তাঘাট সংস্কারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিন মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের ভাগেরপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে চার মাস চার মাস আগে পরমের কর্তৃক ড্রেনের জন্য মাটি খনন করে দেওয়া মাটির ড্রেন গুলি দুই পাড়ের বালু আর মাটিতে ভরাট হয়ে এ জায়গায় ড্রেন ছিল বুঝার কোনো অবকাশ নেই। এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরো মাটির ড্রেন গুলি বালুর স্থবের নিচে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পানি সড়ক ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছে রাস্তার পাশে থাকা বিভিন্ন ব্যবসা বাসাবাড়িতে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও এ অবস্থা থেকে উত্তরণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস মেলেনি। মাঝেমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ ড্রেজার দিয়ে গর্ত করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করলেও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে আবারও তলিয়ে যায়। বৃষ্টি না হলেও সারা বছরই আশপাশের বাসাবাড়ির ড্রেনের পানি জমে থাকে। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা। অনেক সময় ময়লা পানিতে তাদের জামাকাপড়ও নষ্ট হয়।
মোছাম্মদ রিনা বেগম স্বামী আনোয়ার হোসেন,
খালেদা আক্তার স্বামী কামাল সারোয়ার
রোজি স্বামী মৃত মহসিন, নাদিরা স্বামী সোহরাব হোসেন, জামান, গড় পাড়ার বাবুল, আয়নাল হক
জিয়াউর রহমান জয় সদস্য সচিব পলাশ থানা জাতীয় পার্টির (রৌশন পন্থী) গড়পাড়ার আল হাসান,জানান, সারা বছরই গড়পাড়া ও ভাগ্যের পাড়া পানি থাকে।বৃষ্টির কারণে সড়কের কোনো কোনো স্থানে হাঁটুপানির বেশি হওয়ায় দিনের মধ্যে চারবার পানিতে ভিজে যাতায়াত করতে হয়। বিভিন্ন সময় ময়লা পানির কারণে শরীরে চুলকানিসহ চর্মরোগ দেখা দেয়। এলাকার জনগণের লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কাটার পরও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করার কারণে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়টি নিয়ে ঘোড়াশাল পৌরসভার ১,২,৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শাহনাজ পারভীন জানান এলাকার অনেক মানুষ আমার বাসায় আসেন এ সমস্যাটি দীর্ঘদিনের এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে ঘোড়াশাল পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র চার মাস আগে বেকু দিয়ে মাটি কেটে দেন পানি চলাচলের জন্য, তবে কাজটি প্রক্রিয়াদিন আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে এলাকাবাসী একটি ভালো মানের ড্রেন পাবে।
এ বিষয়ে জানতে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেনের মুঠোফোন একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন না রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ঘোড়াশাল পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী যুবলীগের পলাশ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আল মুজাহিদ হোসেন তুষার এর মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি এ বিষয়ে বলেন চার মাস আগে আমি এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে বেকু দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেই তবে বরাদ্দ না থাকায় পাকা ড্রেন নির্মাণে বিলম্বিত হচ্ছে, তবে এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে অল্প সময়ের মধ্যেই টেন্ডার হবে এলাকাবাসী পাকা ড্রেন পাবে।