রবিবার, ১৩ Jul ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
১৯ মামলার আসামি খলিল, এখনো প্রকাশ্যে মাদক সিন্ডিকেটের ছত্রছায়ায়
নরসিংদী প্রতিনিধি।
নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিসপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের (সোনাতলা) ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ১৫ বছরে একে একে ১৯টি মামলা হয়েছে। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অস্ত্র আইনে করা এসব মামলায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছেন তিনি।
সোনাতলা এলাকার বহু বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, খলিল স্থানীয়ভাবে একটি মাদক সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। স্কুল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায়ও মাদক কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগ ও স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক অভিযানে তাকে বাধা দিতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন,
> “যেখানে মাদকবিরোধী অভিযান চলে, সেখানে খলিল এসে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে। নিজের রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাজুড়ে একটি অপরাধী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।”
সূত্র জানায়, খলিলের বিরুদ্ধে করা ১৯টি মামলার অধিকাংশই মাদক ও চাঁদাবাজির সাথে সংশ্লিষ্ট। যদিও কিছু মামলায় সে খালাস পেয়েছে, তবে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে — ‘প্রমাণের অভাবে রেহাই পেলেও তার নাম অপরাধী তালিকা থেকে কখনোই বাদ পড়েনি’।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে নতুন করে অনলাইন মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করলেও, প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজেই নিজের কর্মকাণ্ড ধামাচাপা দিতে এসব কথা বলে জনমত ঘোরাতে চাইছেন বলে স্থানীয়দের অভিমত।
স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা বলেন,
> “সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে জনপ্রতিনিধি হলেও, খলিল একজন সুবিধাবাদী অপরাধী। তার অতীত রেকর্ডই প্রমাণ করে— সে কখনোই জনগণের সেবক ছিল না।”
জানা যায়, একাধিকবার স্থানীয় যুবকরা খলিলের বিরুদ্ধে গোপনে মাদক পাচারের তথ্য প্রশাসনকে দিলেও, রহস্যজনক কারণে মামলা নেয়নি পুলিশ। তবে বর্তমানে নতুন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন —
“যে ব্যক্তি ১৯টি মামলার আসামি, যার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অজস্র অভিযোগ, সে কীভাবে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় ও জনপ্রতিনিধি থাকে?”
[শেষ কথা: মাদক ও অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত খলিলের বিষয়ে এখন প্রয়োজন প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ— না হলে সোনাতলায় যুবসমাজ আরো ধ্বংসের পথে এগোবে।]