রায়পুরা উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের যুবদল নেতার নেতৃত্বে বিএনপি' নেতার বাড়িতে হামলা।

রায়পুরা উপজেলা প্রতিনিধি।

রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুরে ইউনিয়ন যুবদল নেতার নেতৃত্বে নোবিপ্রোবি অধ্যাপক, সেনা কর্মকর্তা ও বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলার চেষ্টা বাধা দেওয়ায় একজনকে গুরুতর জখম ও কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ।

এলাকাবাসীর তথ্য সূত্রে জানা যায় ২৭/০৫/২০২৫ সন্ধা আনুমানিক ৭ ঘটিকায় চাঁনপুর ইউনিয়নের সদাগরকান্দি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রায়পুরা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন সাগরের নেতৃত্বে মৃত রফিক মিয়ার ছেলে সবুজ, সামছু মিয়ার ছেলে খোরশেদসহ ৩০/৩২ জনের দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র সহকারে মৃত হোসেন মিয়ার ছেলে ইউসুফকে খুজতে থাকে পরবর্তীতে চাঁনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোমেন সরকারের বাড়িতে গিয়ে বাড়ির মূল ফটকে বাশঁ লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং মোমেন সরকারকে খুজতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং সদাগর কান্দি চক বাজারে তাদের দূর সম্পর্কের ভাতিজা বাদলকে পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর যখন করে বর্তমানে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

এর পর তারা দোকানদার আমজাদকে প্রান নাশের হুমকি দেয় আমজাদ ভয়ে দোকান বন্ধ করে চলে যায় ও সোহাগ (পিতা মৃত ওসমান) কে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে আহত করে, এলাকায় বিগত অনেক দিন যাবৎ সাগর ও খোরশেদ গ্রামে নানা উছিলায় নিরীহ লোকজনকে নানা অজুহাতে অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে,এর যুবদল ও বিএনপির নাম ভাংগিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে, বিশেষত খোরশেদ লঞ্চঘাটের ইজারা নিয়ে মানুষের কাছে জোর পূর্বক বেশি টাকা আদায় করে, সাগর চাঁনপুরে চলমান রাস্তা ঘাট নির্মাণ কাজ থেকে অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে মোবাইলে লাইভে আসে এবং গোপনে ঠিকাদারকে দেখা করতে বলে।

এখানে উল্লেখ্য ডক্টর জাহাঙ্গীর সরকার (নোয়াখালী সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ডীন জিযাউর রহমান ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের কো অর্ডিনেটর এবং ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহ প্রচার সম্পাদক ) ডক্টর আলমগীর সরকার একই ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার, ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রোকুনুজ্জামান সরকার উজ্জ্বল গাজীপুর মহানগর বিএনপির নেতা মোমেন সরকারের আপন ভাই এবং সেনা কর্মকর্তা মেজর মেহেদী হাসান সরকার মোমেন সরকারের আপন ভাতিজা।

উনাদের যৌথ মালিকানা র বাড়িটিতে মোমেন সরকার থাকেন আর বাকিরা সকলেই চাকরি ও ব্যবসায়িক কাজে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন মাঝে মাঝে এলাকায় আসলে এই বাড়িতে থাকেন।