শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
নরসিংদী রেল স্টেশনে হকার-দোকানদারদের কাছ থেকে প্রতিদিন চাঁদাবাজি, পুলিশ-স্টেশন মাস্টারের ভাগ, আতঙ্কে ভুক্তভোগীরা
নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদী রেল স্টেশনে প্রতিদিনই চলে অবৈধ চাঁদাবাজি। ভাসমান হকার থেকে শুরু করে স্টেশনের দোকানদার—কারও রেহাই নেই এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে।
খানা বাড়ির ভাসমান হকার রমজান জানান, “আমরা ট্রেনের ভিতরে হকারি করি, কিন্তু স্টেশনে টাকা না দিলে আমাদের জোর করে ট্রেন থেকে নামিয়ে টাকা আদায় করা হয়।”
স্টেশনের একজন ভারস্যমান দোকানদার বলেন, “প্রতিদিন ৮০ টাকা দিতে হয়, না দিলে হুমকি দেয় দোকান থেকে তুলে দেবে।”
এছাড়া, স্টেশনের এক ভাসমান দোকানদার নাম না জানানোর শর্তে বলেন, “টাকা না দিলে আমাদের দোকান সরিয়ে দেবে, মালপত্র ফেলে দেবে—এই ভয়ে প্রতিদিন টাকা দেই।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, একসময় এই চাঁদা তুলতেন খোকন নামের এক ব্যক্তি, যিনি এখন মাদক মামলায় কারাগারে। তার অনুপস্থিতিতে এখন তার ছেলে আলমাছ এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মাস শেষে পুলিশের ফাঁড়িতে যায় ১৫ হাজার টাকা, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ৫ হাজার, আর স্টেশন মাস্টারকে দেওয়া হয় ৩ হাজার টাকা।
চাঁদার বিষয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাড়ির এসআই জহিরুলের সাথে ফোনে আলাপ করলে তিনি জানান এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না এটা স্থানীয় কিছু লোকের মাধ্যমে উঠানো হয়। রেলওয়ে ভৈরব থানার ওসি সাহিদ আহমেদ বলেন, “আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। ইজারা ছাড়া টাকার তোলা সম্পূর্ণ অবৈধ।” তিনি জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।চাদার বিষয়ে জানতে স্টেশন মাস্টারের অফিসে যোগাযোগ করলে অফিসটি তালা থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
হকার ও দোকানদাররা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন, যাতে এই অবৈধ চাঁদাবাজির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং তারা স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন।