নরসিংদী রায়পুরায় তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষন মামলার আসামী র্যাব-১১ কর্তৃক গ্রেফতার।
নরসিংদী রায়পুরায় তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষন মামলার আসামী র্যাব-১১ কর্তৃক গ্রেফতার।
আর এ লায়ন সরকার, নরসিংদী।
র্যাব-১১ সিপিএসসি, নরসিংদী ক্যাম্প ও র্যাব-১৪, সিপিসি-০২, ভৈরব ক্যাম্প, কিশোরগঞ্জ কর্তৃক যৌথ অভিযানে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন পলতাকান্দা এলাকার মাইনু মোল্লার বাড়ি হতে চাঞ্চল্যকর নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামের তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষন ও ধর্ষনের ভিডিও ধারন সহ দস্যুতার ঘটনায় এজাহার নামীয় ০১ নং পলাতক আসামী রাকিব (৩৫), পিতাঃ- রতন'কে গ্রেফতার করা হয়।
ব্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে স্থগুণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করাতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ১৭ মার্চ ২০২৫ আরিখ নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানাধীন আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামের তিন সন্ধনের জননীকে ধর্ষন ও ধর্ষনের ভিডিও ধারন সহ দস্যুতার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ (২৫) বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং-৩৪, তারিখ-১৭/০৩/২০২৫খ্রি., ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) তৎসহ ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৮(১) তৎসহ ৩৯২ পেনাল কোড। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে এবং এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায় যে, অত্র মামলার বাদি ভিকটিমের ছেলে ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ ২৫) গত ১৬/০৩/২০২০খ্রি. তারিখ রাত অনুমান ২০,০০ ঘটিকার সময় বাদী, তার বড় ভাই ও তার বাবা বাড়ীতে না থাকার সুযোগে ০১নং আসামী রাকিব (৩৫), পিতঃ-রতন, সাং-রহিমাবাদ, থানাঃ রায়পুরা, জেলা-নরসিংদী সহ আরো অজ্ঞাতনামা ০২জন তাদের বাড়ীতে গিয়ে তার মায়ের ঘরের ভিতর ঢুকে ভিকটিম'কে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় অপর ০২ জন অজ্ঞাতানামা আসামীর মধ্যে ০১জন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং অপর জন ঘরের দরজার সামনে দাড়িয়ে পাহারা দেয়। ০১ নং আসামী ভিকটিমকে জোর পূর্বক ধর্ষন করার পর হুমকি প্রদান করে বলে যে, এই বিষয়ে যদি কাউকে কিছু বলিস তাহলে তোর স্বামী ও ছেলেদের মেরে লাশ গুম করে দিবো। পরবর্তীতে ০১নং আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ০২জন আসামী ভিকটিমকে ধমক দিয়ে আরো বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমের কানে থাকা স্বর্ণের কানের মূল এক জোড়া, যার ওজন অনুমান ৪ আনা, মূল্য ২৪,০০০/- টাকা এবং ঘরে থাকা নগদ ১২,০০০/- টাকা নিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত ০১নং এজাহারনামীয় আসামী রাকিব (৩৫), পিতাঃ- রতন, সাং-রহিমাবাদ, খানাঃ রায়পুরা, জেলা-নরসিংদী'কে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন পলতাকান্দা এলাকার মাইনু মোল্লার বাড়ি হতে ইং ১৯/০৩/২০২৫খ্রি. তারিখ দিবাগত রাতে র্যাব-১১, সিপিএসসি নরসিংদী ক্যাম্পের আভিযানিক দল, র্যাব-১৪, সিপিসি-০২, ভৈরব ক্যাম্প, কিশোরগঞ্জ এর সাথে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও উক্ত আসামীর নামে আরো একাধিক মামলা রয়েছে।
আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
