রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
নরসিংদী ময়দার তিন গুণ সরকারি সুবিধা পাওয়ার আশায় স্মারকলিপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছে মরজাল সমতা বাজারের ভুমি মালিকরা।
আজ বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন মরজাল ইউনিয়ন ও রায়পুরা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও জমির মালিকগণ। এসময় মরজাল ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক আহম্মেদ, রায়পুরা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক ছাত্রনেতা কামাল হোসেন রবি, আশরাফুল আলম মোখলেস, ফজলু মিয়াসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, প্রকল্পের অধীনে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মূল্যের তিনগুণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা থাকলেও, বর্তমান বাজারদরের তুলনায় সেই মূল্য অনেক কম। মরজালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক এলাকায় বর্তমানে প্রতি শতক জমির বাজারমূল্য ৬০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা হলেও, ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হচ্ছে মাত্র ১.৮ লক্ষ টাকার তিনগুণ হিসাবে। ফলে প্রকৃত মালিকরা চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
তারা আরও জানান, এই জমিগুলো অনেকেই পৈতৃক ভিটা বিক্রি করে, কেউবা প্রবাসজীবনের সঞ্চয় ব্যয় করে কিনেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। অথচ, ১২/২০২১-২০২২নং এল.এ মামলায় এসব জমিকে “ভিটা ও বাড়ি” শ্রেণিভুক্ত দেখানো হয়েছে, যা বাস্তবে “বাণিজ্যিক” জমি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে করে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
সমতা বাজার সমিতির পক্ষ থেকে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে তারা দাবি করেন, ক্ষতিপূরণের মূল্য নির্ধারণে মৌজার সরকারি মূল্য নয়, বরং বাজারের চলমান দলিলমূল্য যাচাই করতে হবে। এতে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে মালিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন: শামসুল হক মোল্লা, মোহাম্মদ আলী, কবির হোসেন, ইকরামুল হাসান, শাওন খান, বিল্লাল খান, নিখিল মোদক, আফসার উদ্দিন মাস্টার, আকরাম হোসেন, হাবিবউল্লাহ, মাসুদ মিয়া, ওয়াসিম, ফজলুল হক, আবু সাঈদ, সাগর বাদশা, মিন্টু মিয়া, গোলাপ মিয়া, মোহাম্মদ আলী, রুহুল মোল্লা, লোকমান খান, নাইমুর রহমান খান প্রমুখ।
এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, স্মারকলিপিটি গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।