শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
নরসিংদী বড় বাজারে ভয়ংকর চাঁদাবাজি ও ‘টর্চার সেল’ গুজব! ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদে দোকানপাট বন্ধ নরসিংদীতে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ, বিকল গাড়ি–চুলাও নিভে গেছে নরসিংদী বড় বাজারে চাঁদাবাজি-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ও দোকান বন্ধ ঢাকার মিটফোর্ডে চাঁদার জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, বিচার চান নিহত সোহাগের পরিবার রায়পুরার মির্জাচরে বালু লুটপাট: প্রতিবাদ করলেই হামলা, সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি চেয়ারম্যানের! নরসিংদী সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আধিপত্য বিস্তারে উত্তেজনা | আহত ৩ যদি চাঁদাবাজি করে দলের নাম ব্যবহার করেই কেউ ছাড় পেয়ে যায়, তাহলে বিএনপি আর আওয়ামী লীগে পার্থক্য কী?” যশোর-বেনাপোল সীমান্তে ১০ দিনে ৩ চোরাকারবারীসহ ৬ কোটি ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার চোরাচালানী পণ্য জব্দ ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সংকটে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ দিনাজপুর জেলার সকল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও ফাঁড়ির ইনচার্জদের সাথে পুলিশ সুপার মহোদয়ের মতবিনিময় সভা”

ঢাকার মিটফোর্ডে চাঁদার জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, বিচার চান নিহত সোহাগের পরিবার

ঢাকার মিটফোর্ডে চাঁদার জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, বিচার চান নিহত সোহাগের পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদন:
ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভয়াবহ চাঁদাবাজির বলি হলেন ব্যবসায়ী সোহাগ। চাঁদা না দেওয়ায় আটকে রেখে নির্মমভাবে মারধর ও পাথর দিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার বিচার দাবি করেছেন।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে নিহত সোহাগের লাশ ঢাকা থেকে বরগুনায় নিজ বাড়িতে আনা হয়। বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

নিহত সোহাগের মেয়ে সোহানা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমরা এখন এতিম হয়ে গেছি, এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াব? বাবাকে যারা হত্যা করেছে, আমরা তাদের বিচার চাই।”

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাত্র সাত মাস বয়সে বাবাকে হারান সোহাগ। মা আলেয়া বেগম ঢাকায় এসে সন্তানদের নিয়ে জীবনযুদ্ধে নামেন। সোহাগ পরে মিটফোর্ড এলাকায় ‘মেসার্স সোহানা মেটাল’ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতেন। পরিবার নিয়ে তিনি কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনের কদমতলী এলাকায় বসবাস করতেন।

নিহতের পরিবারের দাবি, সোহাগের দোকান থেকে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করত একটি প্রভাবশালী চক্র। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা মেরে দেওয়া হয়। গত ৯ জুলাই বিকেলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সোহাগকে ভয়ঙ্কর নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়।

সোহাগের বোন ফাতেমা বেগম জানান, “ভাইয়ের দোকানটা ওদের সহ্য হচ্ছিল না। চাঁদা দিতে না চাওয়ায় ব্যবসা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল। ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।”

স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, “আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত