শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন
খুলনার দিঘলিয়ায় ভিপি সহকারী ওমর ফারুক এর রমরমা ঘুষ বানিজ্য।
জেলা প্রতিনিধি খুলনা।
খুলনার দিঘলিয়ায় সহকারী ভূমি অফিসের একজন ভিপি সহকারী ওমর ফারুক তিনি মাএ কয়েক মাস হলো দিঘলিয়ায় ভিপি সহকারী হিসেবে যোগদান করেছেন। কিন্তু যখন দিঘলিয়ায় অসংখ্য ভিপি জমি ডিসি আর না কেটেই ভোগ দখল ও ভিপি জমিতে পাকা বাড়ি নির্মান রমরমা হয়ে উঠেছে ঠিক তখনই এই ওমর ফারুক কে ভিপি সহকারী হিসেবে দিঘলিয়ায় যোগদান করতে দেখা যায়। কিন্তু সরকারি কমিশনার ভূমি এ নেতৃত্বে ভিপি জমি নবায়ন কার্যক্রম শুরু হয় কিন্তু দুঃখের বিষয় ভিপি সহকারী হিসেবে ওমর ফারুক যোগদান করার পর থেকেই অসংখ্য ভিপি জমি নবায়ন করার জন্য আবেদন করা হয় উক্ত আবেদনকারী গণ কারো দুই শতক কারো বা পাঁচ শতক জমি ডিসি আর এর জন্য যখন ওমর ফারুক সাহেব সরেজমিনে জান ঠিক তখন সরেজমিনে উক্ত সেবা গ্রহিতাকে দিতে হয় দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা । এবং ডিসি আর এর জন্য আবেদন কারীগন আবেদন করার পরে মাসের পর মাস ওমর ফারুক সাহেবের কাছে ঘুরতে ঘুরতে ২-৫ মাস ও পেরিয়ে যায়। একপর্যায়ে যখন আবেদন কারী নিজে উপজেলা ভূমি অফিস এ আসেন ঠিক তখন ওমর ফারুক উক্ত সেবা গ্রহিতার জমির পরিমাণ হিসাবে মোটা অংকের টাকা দিতে বলেন । যে সকল ভিপি জমি আবেদন কারী গন ওমর ফারুক এর চাহিদা মতো টাকা দিত পারে তাদের ডিসি আর কপি একদিন এর মধ্যে পেয়ে যায় । আর যে সকল আবেদন কারী তার চাহিদা মতো টাকা দিতে পারে না তাদের কে ঘুরতে হয় মাসের পরে মাস। এবিষয়ে কয়েক বার মৌখিক ভাবে সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) দেবাংশু বিশ্বাস কে অবগত করা হয়েছে তিনি বলেন এমন কোন অভিযোগ থাকলে লিখিত দিলে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এবিষয়ে গোপন ক্যামেরায় এক বৃদ্ধা মায়ের কাছে কথা বললে তিনি বলেন এই ২০২৪ সালে তার কাছ থেকে ওমর ফারুক ২ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে কিন্তু তার ডিসি আর বিল হয়েছে মাএ ১,৩০০/- এবং গত বছর ঐ বৃদ্ধা মায়ের দিতে হয়েছে ৪২ হাজার টাকা। আরো একজন ভুক্ত ভোগীর গোপন ভিডিও নেওয়া হয় তিনি বলেন তারা ৫ জন শরিক সাড়ে ২০ শতক জমি ডিসি আর এর আবেদন করে ৪ মাস ঘুরে অবশেষে উপজেলা ভূমি অফিসে আসেন এবং ওমর ফারুক এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন ৩০ হাজার করে টাকা দিতে হবে সর্ব মোট ৫ জন কে দের লাখ টাকা দিতে হবে। পরে ভুক্ত ভোগী নিজের একার কাগজ টি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন তখন ওমর ফারুক বলেন আপনি অফিসে এসেছেন তাই আপনার জন্য ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে। দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ সেনহাটি ইউনিয়ন এর লুৎফরের বটতলা নামক স্থানে ৪২ শতক জমিতে টাকার প্রভাব খাটিয়ে তাইজুল ব্যাপারী একটি পাকা বাড়ি নির্মান করে যার বিষয় একের পরে এক এভাবেই ৩ জন সহকারী কমিশন ( ভূমি) কে অবগত করা হয়। কিন্তু আদৌ সেই জমি বা বাড়ির বিষয় কোন আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেনে ভূমি অফিস। কিন্তু ঐ ৪২ শতক জমি ও পাকা বাড়ি সহ ডিসি আর দিচ্ছেন ভিপি সহকারী ওমর ফারুক। এমনকি ভিপি জমিতে রাতারাতি বাড়ি নির্মাণ ও ছাদ ঢালাই এর খবর পাওয়ার পরেও উক্ত ওমর ফারুক ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ না করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে চলে আসে বলে ও অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির শীর্ষ স্থানে থাকা এই ওমর ফারুক এর খবর নিয়ে যানা যায় তিনি বিগত আওয়ামী সরকারের অধীনে তদবির করেই পদোন্নতি পান।