রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
নরসিংদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু বলাৎকারের অভিযোগ, উত্তপ্ত জনতা, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন। বেনাপোলে রেলের জমি দখল করে ভবন নির্মানের অভিযোগ বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টির উদ্যোগে মে দিবস পালিত। ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল — বিএনপি’র দুর্দিনের কান্ডারী। মাধবদী কাদরিয়া আসমান দিয়া দরবার শরীফে হামলার হুমকি, জেলা সূফী সংস্থার সমন্বয়কারীর আহ্বান: উত্তেজনা সৃষ্টিকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। নরসিংদীতে লাইসেন্স ব্যবস্থা বন্ধ, ইজারার নামে টাকা তোলা: যানজট কমাতে নিয়ন্ত্রণ দরকার নরসিংদী রেল স্টেশনে হকার-দোকানদারদের কাছ থেকে প্রতিদিন চাঁদাবাজি, পুলিশ-স্টেশন মাস্টারের ভাগ, আতঙ্কে ভুক্তভোগীরা নিবন্ধিত দলের চেয়ে অনিবন্ধিত দলের নেতাদের দাপটে দিশেহারা সরকার। ঘোড়াশালে বিএনপি নেতা মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে মহান মে দিবসের বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সমাবেশ

ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল — বিএনপি’র দুর্দিনের কান্ডারী।

ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল — বিএনপি’র দুর্দিনের কান্ডারী।

আর এ লায়ন সরকার, নরসিংদী।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যখন সাংগঠনিকভাবে চাপে, দমন-পীড়ন আর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মুখোমুখি, তখন কিছু নেতা রয়েছেন যারা দলের পতাকা উঁচিয়ে ধরে রাখেন। তাদের মধ্যে অন্যতম নাম ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল।

দলীয় সূত্র এবং স্থানীয় কর্মীদের মতে, বকুল বিএনপি’র এক নিবেদিত প্রাণ নেতা। বিশেষ করে বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের ভয়াবহ দমন-পীড়নের সময় তিনি শুধু নিজেকে রক্ষা করেননি, বরং রাজপথের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রেখেছেন, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং মনোবল জোগানোর চেষ্টা করেছেন। যখন অনেক নেতাই আত্মগোপনে বা নীরব ছিলেন, বকুল ছিলেন মাঠে। তিনি মামলা, গ্রেফতার, হামলা বা রাজনৈতিক শাস্তির ভয়কে উপেক্ষা করে কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যোগাযোগ করেছেন, প্রয়োজনে আইনি সহায়তা বা পারিবারিক সহায়তার ব্যবস্থা করেছেন।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, তার নেতৃত্বে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন ইতিমধ্যেই বিএনপি’র শক্ত দুর্গে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে, সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করে এবং নতুন প্রজন্মের কর্মীদের রাজনীতিতে যুক্ত করে তিনি সেখানে দলকে এক শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন। তার নেতৃত্বে রায়পুরা এখন আওয়ামী লীগের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ছাত্রদল থেকে, যেখানে তিনি মেধা আর সাংগঠনিক দক্ষতার ছাপ রেখে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে উঠে আসেন। পেশায় একজন প্রকৌশলী হলেও, তিনি নিজের পেশাগত সুবিধার চেয়ে রাজনীতিকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন, যা তাকে কর্মীদের কাছে আলাদা মর্যাদায় বসিয়েছে।

দলের অভ্যন্তরে তার জনপ্রিয়তার পেছনে বড় কারণগুলো হলো:

কর্মীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ

দলে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করার চেষ্টা

আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ

দমন-পীড়নের সময়ও সহযোদ্ধাদের খোঁজখবর রাখা

রায়পুরায় বিএনপি’র ঘাঁটি শক্তিশালী করা

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দায়বদ্ধতা বজায় রাখা

অবশ্য, তার সামনে চ্যালেঞ্জও কম নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের দমননীতির কারণে বারবার মামলা, গ্রেফতার আতঙ্ক এবং রাজনৈতিক বিভাজনের মুখোমুখি হয়েছেন। তবুও, বিএনপি’র ভেতরে অনেকে মনে করেন, দলের পুনর্গঠন বা ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে বকুলের মতো মাঠের কান্ডারীদের গুরুত্ব দিন দিন বাড়বে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত