আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নিম্নমানের ঠিকাদারি কাজ করে ফুটপাত থেকে কোটিপতি পলাশের কামাল কন্ট্রাক্টার

বিশেষ প্রতিনিধি ঃঃ

নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সখ্যতার মধ্যে এক সময়ে ফুটপাতে কলা বেপারী কামাল আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের শাসন আমলে একচেটিয়া ঠিকাদারি কর্মের মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছেন
ফেস্টিট হাসিনার সহযোগী এবং প্রভাবশালী ঠিকাদার কামাল বর্তমানে নরসিংদী জেলার এলজিইডি এবং পৌরসভার বহু প্রকল্পে কাজ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উত্থান একসময় গরিব কলাব্যবসায়ী থেকে পৌরসভার কোটি টাকার ঠিকাদারে পরিণত হওয়া।

বেশ কিছু বছর আগে কামাল এই অবস্থানে পৌঁছাতে পারেননি যদি না তাকে নরসিংদী পৌরসভার মেয়র কামরুল, সাবেক এমপি দিলীপ, পোটন এবং রাজনৈতিক নেতা ও মেয়র তুষারের আশীর্বাদ পেতেন।
তাদের সহযোগিতায় তিনি এলজিইডি, পৌরসভা এবং রোড নির্মাণের প্রকল্পগুলোতে একচেটিয়া কাজ লাভ করেন। কিন্তু এসব কাজের গুণগত মান প্রশ্নবিদ্ধ, অনেক রাস্তায় কাজের শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলি ভেঙে যায় এবং তার নিম্নমানের কাজের কারণে নানা সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

নির্বাচনী ভোটিংয়ে অশান্তি সৃষ্টি এবং ভোট ডাকাতির অভিযোগে কামাল একাধিকবার বিতর্কিত হয়েছেন। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে গজারিয়া ও জিনারদী ইউনিয়নে এবং অন্যান্য কেন্দ্রে ভোটের দিন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, যেখানে তিনি জোরপূর্বক ব্যালটে ভোট মেরেছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এছাড়া, কামাল রাজনৈতিক প্রভাবের দাপটে এলজিইডি, পৌরসভা এবং অন্যান্য বড় অফিসে তার প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ ঠিকাদারদের কাজের সুযোগ দেয়নি।

বর্তমানে, কামাল এখনও তার প্রভাব বজায় রেখে সস্তা মিডিয়া ও মাস্তানদের সাহায্যে নিজের অবস্থান শক্ত করছে। এমনকি, তিনি এখনও নরসিংদী জেলা এলজিইডি ভবন, সদর এলজিইডি ভবন, পৌরসভাসহ বড় বড় অফিসগুলোর সঙ্গে ওঠাবসা করেন। তার গোপন শক্তি কোথায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে তার উন্নত মানের কাজ না হওয়ার পরও কেন তিনি ওইসব প্রজেক্টগুলোতে একচেটিয়া ঠিকাদারি পেয়ে থাকেন।

এ ধরনের নিম্নমানের কাজ করার পরেও তিনি রাজনৈতিক দলের প্রভাবের জোরে প্রভাবশালী ঠিকাদার হয়ে উঠেছেন। তবে এও সত্য, যে তিনি এবং তার সঙ্গীরা কখনোই সাধারণ ঠিকাদারদের স্থান দিতে চায়নি, বরং তাদের নানা কৌশলে কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।

এভাবে, কামালের শাসন ও দাপটে নরসিংদী জেলায় ঠিকাদারি, নীতি ও গুণগত মানের চর্চা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে, যা সাধারণ জনগণের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কামালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল সাধারণ ঠিকাদাররা একচাটিয়া জেলা জুড়ে কাজ করেছেন কামাল তার গডফাদার ছিল সন্ত্রাসের গডফাদার দিলীপ ,পোটন ,তুষার কামরুল
বর্তমানে এই সন্ত্রাসের গডফাদার স্বৈরাচার হাসিনার দোসর ঠিকাদার কামাল রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে দাবিয়ে বেড়াচ্ছেন জেলা জোরে এবং ঠিকাদারি করছেন বীর দাপটে তার খুঁটির জোর কোথায় ? কামালের পলাশ ফুলবাড়িয়া য় দুটি রাস্তা নিম্নমানের কাজ করায় এক সপ্তার মাধ্যমে পুকুরে বিলীন হয়ে যায়, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ হয়েছে এবং জোরপূর্বক বিরোধী দলের নির্বাচনী ক্যামপ ভাঙচুরের অভিযোগ এটিএন বাংলায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে
পর্ব (১)