সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগের দোসরদের বিরুদ্ধে বেকু দিয়ে সরকারি বেড়ীবাঁধ কর্তনের অভিযোগ।
শিবপুর উপজেলা প্রতিনিধি।।
শিবপুর উপজেলার সুমাইয়া বেড়িবাঁধ বেকু দিয়ে কর্তন করেছে আওয়ামী লীগের দোসররা এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিবরণে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আসাদুজ্জামানের ছেলে লিমন ও ছালাম, শাহিন উল্লার ছেলে নাঈম, মৃত হযরত আলীর ছেলে আবু তাহের বেকুব দিয়ে বেড়ীবাঁধ কেটে যান চলাচলের অনুপযোগী করে ফেলেছে।
জাপানের একটি সংস্থা (জাইকা) এর অর্থায়নে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ হয়েছে যা সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন জয়নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাদিম সরকার। বেড়িবাঁধ পাকা করনে প্রকৃয়াধিন অবস্থায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এলাকায় প্রভাব দেখিয়ে এ কাজ করেছেন বলে জানায় স্থানীয়রা। এলাকার শতাধিক কৃষক এ বাঁধ দিয়ে গাড়ি নিয়ে ধান ক্ষেত থেকে ধান এনে থাকেন। স্থানীয় কৃষকদের বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান উপস্থিত লোকজন।
সরেজমিনে গেলে কৃষক কবির বলেন, আমরা জমি দিয়েছি, বাঁধ নির্মাণে মাটি দিয়েছি। এখন যারা এই কাজ করেছে তাদের বিচার দাবি করছি।
বজলু বলেন, আমরা ধান আনি, গরু রাখি। এখন এসব কাজে অসুবিধা হচ্ছে।
কাঞ্চন বলেন, আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এই সিন্ডিকেট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বহু লালমাটির টিলা কেটে সাবাড় করেছে। অভিযুক্ত নাঈম টিলা কাটার অপরাধে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক করে, পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায় বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। তাছাড়া অভিযুক্ত লিমন একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ২ বছর পূর্বে নদীর পাড়ের সমস্ত মাটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয় বলেও জানান স্থানীয়রা।
এছাড়া ভুক্তভোগী আরও বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়ির গরু ছাগলের গলায় কখনও রশি দেয়নি ফলে কৃষকের ধান ক্ষেত খেয়ে ফেলে, মেশিনের পাইপের ভিতর পাথর ফেলে রাখে এতে পানি আসে না, কৃষি কাজ থাকে পতিত। ঐ কৌশলে নিম্ন মূল্যে তাদের অভিভাবকরা জমি ক্রয় করে থাকে বলে অভিযোগ করেন মুরগীবের, নৌকাঘাটা, ছোটাবন্দ, ধনাইয়া গিলাবের ও জয়নগরের কৃষকরা। গভীর রাতে রাস্তা ও বাঁধে বসে থেকে চুরি-ছিনতাই করে অভিযুক্তরা। এবং তারা মাদকের সাথে জরিত বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আমাদের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি, বেকু দেখতে পাওয়া যায়। এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের চাপা ক্ষোভ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে এমন প্রত্যাশা স্থানীয় কৃষকদের।