শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
শার্শায় আনোয়ার ফিলিং স্টেশনের মালিকের বিরুদ্ধে জাল এফিডেভিডের অভিযোগ
মনির হোসেন, বেনাপোর প্রতিনিধি:-
যশোরের শার্শা উপজেরলা বসতপুরের মেসার্স আনোয়ার ফিলিং স্টেশনের মালিক জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে জাল এফিডেভিডে তনিমা ফিলিং স্টেশন দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আদালতের সাবেক এক বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এ প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
গত ৩০ অক্টোবর কাগজপুকুরের মেসার্স তনিমা ফিলিং স্টেশনের লিজ গ্রহিতা গোলাম মোরশেদকে দেওয়া আদালতের ইনফরমেশন স্লিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবেদনকারীর আইনজীবী প্রবীর চক্রবর্তী।
আইনজীবী প্রবীর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বেনাপোল পৌরসভার এলাকার দ্বীন মোহাম্মদ খাঁ’র ছেলে গোলাম মোরশেদ ২০১৮ সালে যাদবপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ খাঁ’র কাছ থেকে তার কাগজপুকুরের মেসার্স তনিমা ফিলিং স্টেশন লিজ নিয়ে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে আসছেন। সম্প্রতি বসতপুরের মেসার্স আনোয়ার ফিলিং স্টেশনের মালিক জামাল হোসেন এফিডেভিড সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র এনে দাবি করেন, ২০২১ সালের ১২ জুলাই আদালতে এফিডেভিডের মাধ্যমে আব্দুল লতিফ খাঁ’র কাছ থেকে মেসার্স তনিমা ফিলিং স্টেশন লিজ নিয়েছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল ইসলামের আদালত থেকে এফিডেভিডের মাধ্যমে এ চুক্তিপত্র করা হয়। বিষয়টি গোলাম মোরশেদ মেসার্স তনিমা ফিলিং স্টেশনের মালিক আব্দুল লতিফ খাঁ’কে অবহিত করলে তিনি জামাল হোসেনকে লিজ দেননি এবং আদালতে এ সংক্রান্ত কোনো অ্যাফিডেভিট করা হয়নি নিশ্চিত করেন। কথিত চুক্তিনামায় আব্দুল লতিফ খাঁ’র স্বাক্ষর জাল। এরপর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য
এফিডেভিডের ইনফরমশেন স্লিপ পাবার জন্য গত ৩০ অক্টোবর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন গোলাম মোরশেদ। পরে আদালতের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নথি যাচাই করে জামাল হোসেনের এফিডেভিডের সত্যতা না পাওয়া যায়নি। গত ৩০ অক্টোবর আবেদনকারী গোলাম মোরশেদকে দেওয়া ইনফরমেশন স্লিপে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালালের আদালত থেকে।
আদালতের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় মেসার্স আনোয়ার ফিলিং স্টেশনের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে#