Warning: Creating default object from empty value in /home/najat24news/public_html/wp-content/themes/Newssmart for rony vaya/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
মাছ কেটে সংসার চালাচ্ছে পলাশের শতাধিক পরিবার

শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নারীসহ ৪ জন নিহতের ঘটনায় ঘাতক ট্রাক চালক গ্রেফতার নরসিংদীতে অস্ত্র, ইয়াবা ও বিস্ফোরকসহ কুখ্যাত সন্ত্রাসী তৈয়বুর রহমান গ্রেপ্তার। আবৃত্তি সংসদ কুমিল্লার কার্যকরী কমিটি পুনর্গঠন সভাপতি-সুমনা, সাধারণ সম্পাদক-আকাইদ নরসিংদীর পাঁচদোনায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে জন্মাষ্টমী উৎসবে তিন বাহিনী প্রধান। রায়পুরা শ্রীনগর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। রাজশাহীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার, আটক ৩। বেগুনবাড়ি ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও নতুনপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানে সন্ত্রাসী নিহত, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বাকসিঁড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ ও একাধিক অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে স্থানীয় ক্ষোভ

মাছ কেটে সংসার চালাচ্ছে পলাশের শতাধিক পরিবার

মাছ কেটে সংসার চালাচ্ছে পলাশের শতাধিক পরিবার

মোঃ বেলায়েত হোসেন, পলাশ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
কথায় বলে , ভোজন রসিক বাঙালি বা মাছে-ভাতে বাঙালি। এমন বাঙালি পাওয়া যাবেনা মাছ খেতে পছন্দ করেনা কিন্তু মাছ খেতে হলেই কাটতে হবে। এই কাটাকুটি বিষয়টি অনেকের কাছেই ঝামেলা ও বিরক্তিকর। এই সুযোগটা নিয়ে মাছকাটাকে জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছে পলাশে অনেকে। কেউ কেউ এটাকে বাড়তি উপার্জনও মনে করছেন। বাড়তি আয় কে না চায়।
পলাশে ছোটবড় বাজারের সংখ্যা ২২/২৩টির মতো।এর মধ্যে বড় বাজার ১৪টি। ঘোড়াশাল বাজার, পলাশ বাজার, খানেপুর বাজার, ডাংগা বাজার, সাধুরবাজার,কালীবাজার, তালতলি বাজার, ওয়াপদা নয়া বাজার,পারুলিয়া বাজার,পাকড়াগঞ্জ,চরসিন্দুর বাজার, সাদ্দাম বাজার, গজারিয়া বাজার,চরনগরদীবাজার উল্লেখযোগ্য বড় বাজার।
প্রতিটি বাজারের মাছ বাজারের পাশে ধারালো বটি নিয়ে বসে মাছ কাটতে দেখা যায় মাছ কাটানীদের। মাছ কেনার পরই এই মাছ কাটানীদের কাছে ছুটে যায় মাছ কেটে দিতে।ক্রেতাদের ইচ্ছামত তারা মাছ কেটে পরিষ্কার করে পলিথিন ব্যাগে ভরে দিচ্ছে।মাছ কাটানীরা বড়মাছ প্রতি কেজি ২০টাকা, ছোটমাছ প্রতিকেজি ৫০/৬০টাকা নিচ্ছে।
সরেজমিনে বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব বাজারেই ৭/৮জন তাদের হেল্পারসহ মাছ কাটানী রয়েছে। বাজারগুলোতে সকাল ৪/৫ ঘন্টা বিকেলের বাজারে ৫/৬ ঘন্টা মাছ কাটে। পলাশ- ঘোড়াশাল শিল্পাঞ্চল থাকায় ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি।

পলাশের বাজারগুলোতে অনেকদিন ধরে মাছ কাটছে হরিদাস দাস,লিটন দাস,আয়ান মিয়া। হরিদাস জানায়,আমরা যারা সকাল বিকেল মাছ কাটি প্রতিদিনই গড়ে ৬ শত হতে হাজার টাকা ইনকাম করি। সংসারও ভালই চলে।অনেক বেকার ছেলে আগে কোন কাজ না পেয়ে মাছ কাটায় নেমে পড়ে।তারাও ভাল আয় করছে। ঘোড়াশাল বাজারে এক দম্পতি মাছ কাটে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিলাকে তার স্বামী সাহায্য করে। জানা যায় এই দম্পতির আয় দৈনিক আটশত হতে বারশত টাকা।
ভাগ্য ভালো হলে হাটের দুদিন ১৫০০ টাকাও হয়। এই আয় দিয়েই তাদের সংসার ভালোই চলছে।

সপ্তাহে ছুটির দিনগুলোতে বাজারে ক্রেতা বেশি থাকায় কিছুটা বাড়তি আয় হয়। তাই সপ্তাহের বন্ধের দিনের আশায় থাকেন তারা।

পঞ্চাশ উর্ধ বয়সের মাছ কাটানী এক মহিলা আগে মানুষের বাসায় বাসায় কাজ করতো। এখন মাছ কেটে স্বাবলম্বী। আগে বাসা বাড়িতে কাজ করতেন। টাকা জমিয়ে একটি ধারালো বটি কিনে সে মাছ কাটার কাজে নেমে পড়েন। প্রায় চার বছর সে এই পেশায় নিয়োজিত।

শুধুই মাছ কাটা নয়,মাছ কাটার পর মাছে আইঁশ জমিয়ে শুকিয়ে বিক্রি করেও টাকা আয় করছে তারা।

এই পেশায় আয় কেমন হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাছ কাটলে তার আয় হয় ৪০০/৫০০টাকা। রাত পর্যন্ত করলে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় হয়। তবে শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকার কারণে মাছের চাহিদা বেশি থাকে।চাকুরীজীবীরা এসে বাজার থেকে বেশি বেশি মাছ কেটে বাড়ি নিয়ে যান। এদিন একটু আয় ভালো হয়।

ঘোড়াশাল বাজারে মাছ কাটাচ্ছিলেন এলাকার গৃহিণী। তিনি বললেন, বর্তমানে সন্তানদের লেখাপড়া, স্কুল, কোচিংসহ সংসারের অন্যান্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এরপর আবার রান্নাবান্নার কাজ করতে হয়। তাই মাছ কাটার তেমন সময় হয় না। বাড়তি ২০-৩০ টাকা খরচ হলেও সময় অল্প লাগে, ঝামেলা থেকেও বেঁচে যাই।

পাইকসা গ্রামের ফজলুর রহমান বলেন, এখন তো টাকা দিয়েও কাজের মানুষ পাওয়া যায় না। তাই সময় বাঁচাতে বাজার থেকে কেনা মাছগুলো কেটে নিয়ে যাই। বরং তারা না থাকলে অনেক বড় ছোট মাছ খাওয়াই হতো না।

ঘোড়াশাল বাজার বণিক সমিতির সেক্রেটারি বলেন, মাছ কেটেও যে সংসার চালানো যায় এটা একটা সংসার চালানোর এক নতুন উদ্যোগ।তবে আমরা ক্রেতারাও তাদের জন্য উপকৃত হচ্ছি। কারণ অনেক দম্পতি দুজনই চাকরি করে, এতে তাদের সময়টা বেঁচে যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function 'wccp_main_settings' not found or invalid function name in /home/najat24news/public_html/wp-includes/class-wp-hook.php on line 324

Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function 'right_click_premium_settings' not found or invalid function name in /home/najat24news/public_html/wp-includes/class-wp-hook.php on line 324

Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function 'wccp_css_settings' not found or invalid function name in /home/najat24news/public_html/wp-includes/class-wp-hook.php on line 324