শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ০২:৪৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
নরসিংদী বড় বাজারে ভয়ংকর চাঁদাবাজি ও ‘টর্চার সেল’ গুজব! ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদে দোকানপাট বন্ধ নরসিংদীতে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ, বিকল গাড়ি–চুলাও নিভে গেছে নরসিংদী বড় বাজারে চাঁদাবাজি-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ও দোকান বন্ধ ঢাকার মিটফোর্ডে চাঁদার জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, বিচার চান নিহত সোহাগের পরিবার রায়পুরার মির্জাচরে বালু লুটপাট: প্রতিবাদ করলেই হামলা, সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি চেয়ারম্যানের! নরসিংদী সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আধিপত্য বিস্তারে উত্তেজনা | আহত ৩ যদি চাঁদাবাজি করে দলের নাম ব্যবহার করেই কেউ ছাড় পেয়ে যায়, তাহলে বিএনপি আর আওয়ামী লীগে পার্থক্য কী?” যশোর-বেনাপোল সীমান্তে ১০ দিনে ৩ চোরাকারবারীসহ ৬ কোটি ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার চোরাচালানী পণ্য জব্দ ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সংকটে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ দিনাজপুর জেলার সকল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও ফাঁড়ির ইনচার্জদের সাথে পুলিশ সুপার মহোদয়ের মতবিনিময় সভা”

বেনাপোলে ঈদে আমদানি বন্ধ থাকায় ফলের দাম বেড়েছে

বেনাপোলে ঈদে আমদানি বন্ধ থাকায় ফলের দাম বেড়েছে

মনির হোসেন বেনাপোল,

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আট দিন ধরে ফল আমদানি বন্ধ থাকায় শার্শা উপজেলা ফলের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে। ঈদের আগে যে আপেল ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। ফলের অতিরিক্ত দাম বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা।

বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তিন মাস ধরে আপেল আমদানি বন্ধ আছে। তবে আঙুর, আনার ও কমলা গত ১০ দিন আগেও আমদানি হয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি ভারত থেকে মাত্র এক ট্রাক আপেল আমদানি হয়। আর ঈদের তিন দিন আগে ২৭ মার্চ ১১ ট্রাক আনার, ১১২ ট্রাক আঙুর ও সাত ট্রাক কমলা আসে। এর মধ্যে এসব ফলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

শনিবার ৫ এপ্রিল বেনাপোল এলাকার কয়েকটি ফলের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, আপেল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, আনার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আঙুর (কালো) ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আঙুর (সবুজ) ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কমলা ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে আপেল ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা, আনার ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, আঙুর (কালো) ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, আঙুর (সবুজ) ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা ও কমলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

বেনাপোল বাজার এলাকার খুচরা ফল বিক্রেতা রেজাউল ইসলাম বলেন, রোজার মধ্যে দুই দফায় ফলের দাম বেড়েছে। রোজার শুরুতে আপেল, সবুজ আঙুর ও কমলা ৩২০ থেকে ৩৫০, আনার ও আঙুর (কালো) ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের কারণে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ থাকায় আরেক দফা দাম বেড়েছে। এখন তো কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন রোগীদের জন্য ফল বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় ফল বিক্রি কমে গেছে।’

ভারত থেকে ফল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গাজী এক্সিমের স্বত্বাধিকারী গাজী শামীম উদ্দীন বলেন, এখন মূলত আঙুরের মৌসুম। ভারত থেকে আঙুর বেশি আসছে। সঙ্গে আনার ও কমলা আসছে অল্প করে। ভারতীয় আপেল আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন বাজারে যে আপেল পাওয়া যাচ্ছে, তা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আফ্রিকা ও চায়না থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার শরিফুল হাসান জানান, বেনাপোল দিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ফল আমদানি কম হচ্ছে। শুল্কায়নসহ প্রতি কেজি সবুজ আঙুর ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা ও কালো আঙুর ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, আনার (মিশ্র) ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। দুই দিন পর আমদানি স্বাভাবিক হলে ফলের দাম কমে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

দুজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ঈদের সময় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে এটা পূর্বঘোষিত বিষয়। আমদানিকারকেরা সেই প্রস্তুতি নিয়েই প্রয়োজনীয় ফল আমদানি করে গুদামে সংরক্ষণ করেন। অতিরিক্ত দামে তো তাঁদের আমদানি করতে হয়নি, তাহলে বাজারে ফলের দাম বাড়বে কেন? অতিরিক্ত দাম নিলেও সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো দায়িত্ব পালন করছে না। বাজারে সরকারি কোনো অভিযান চালানো হচ্ছে না।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন, ঈদের জন্য সরকারি কার্যালয় বন্ধ আছে। রোববারের আগে বাজারে নজরদারির সুযোগ নেই। কার্যালয় চালু হলে প্রথমে ফলের বাজারে অভিযান চালানো হবে। আমদানি মূল্যের চেয়ে নির্দিষ্ট মুনাফার বাইরে কেউ বেশি দামে ফল বিক্রি করলে জরিমানা করা হবে। বন্ধের মধ্যে অতিরিক্ত দামে ফল কিনে থাকলে কেউ ক্রয় রসিদসহ অভিযোগ করলে বিক্রেতাকে জরিমানা করার সুযোগ আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত