শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
নরসিংদী রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাঞ্ছিত ও চাঁদাবাজির অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি।
রেলওয়ে স্টেশনে চাঁদাবাজি এবং রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে নরসিংদী শহর যুবদলের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে।
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবু তাহের মোহাম্মদ মুসা আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এছাড়া, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি), সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), নরসিংদী ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও (ওসি) অভিযোগপত্রের অনুলিপি দিয়েছেন তিনি।
সদর উপজেলার বানিয়াছল গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মাহমুদুল হাসান চৌধুরী সুমন বর্তমানে শহর যুবদলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, সুমন ও তার সহযোগীরা স্টেশনে এসে কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন; শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন; স্টেশনের ভিআইপি কক্ষে মাদক ও জুয়ার আসর বসান এবং যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক সোয়া ৮টার দিকে সুমন তার সহযোগীরা অস্ত্র নিয়ে জোর করে স্টেশনের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে আবু তাহের ও তার সহকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন এবং চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে হত্যা করা হবে এমন হুমকিও দেন সুমন—উল্লেখ করেছেন তাহের।
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জরুরিভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে স্টেশনের কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সুমন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি আমার বড় ভাইয়ের বন্ধু। তার কাছে আমার নিয়মিত যাতায়াত আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করি কিন্তু চাঁদাবাজি বা নির্যাতনের ঘটনা সত্য নয়।’
নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে আমরা অবগত না। লিখিত অভিযোগের কপি আমাদের কাছে আসেনি। বিএনপি চাঁদাবাজি ও দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে খুব কঠোর অবস্থানে আছে। ছাত্রদল, যুবদলসহ যে কেউ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে দলীয় শাস্তির পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করব, তবে তা সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হতে হবে।’
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে যে বা যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।