মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
স্বৈরাচারের দোসর ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার মোড়ল : বেরিয়ে আসছে একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য যশোর বিএনপির সমাবেশ সফল করতে শার্শায় আলোচনা সভা শেষে প্রচার মিছিল বিএনপির কাউন্সিল নির্বাচনে ভোটার ৪৫৯, ভোট পড়ল ৪৮৫ পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল ভাগ্যেরপাড়া জমিতে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে তা জবরদখলের অভিযোগ। ভারত থেকে প্রায় ১৪ হাজার মেট্রিক টন চাল  আমদানি তারপরও কমছে না দাম বেনাপোলের পল্লীতে বিএনপি‘র দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত -৫ শার্শায় পৈতৃক সম্পত্তি দখল পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে কৃষক রহিত আলী দিঘলিয়া প্রেসক্লাব এর কার্যকারী সদস্য সুস্থতা কামনায় দিঘলিয়া প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ  শার্শায় সত্য নারায়ণের মাঘী পূর্ণিমা গঙ্গা স্নান ও বাৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত  নরসিংদী শিবপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আটক।

নরসিংদী মনোহরদী চালাকচর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ।

নরসিংদী মনোহরদী চালাকচর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ।

আর এ লায়ন সরকার নরসিংদী।

নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায় ভূমি অফিসের সেবা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি এবং ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। আব্দুল আলীমের পুত্র সিরাজুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি সাড়ে পাঁচ শতক দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। নানার বাড়ি থেকে ওয়ারীশসূত্রে উক্ত জমি প্রাপ্ত হইয়া দোকান ঘর নির্মাণ করে নিজে ব্যবসা ও ভাড়া দিয়ে আসছে।

 

 

কিন্তু অভিযোগে বলা হয়েছে, চালাকচর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) মোঃ মনির হোসেন জমির কাজের জন্য তার কাছে দেড়লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, তিনি সিরাজুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে হয়রানি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে ওই কর্মকর্তা জোরপূর্বক ঘুষ আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছেন।

 

২০/০৬/২০২৪ তারিখ অভিযোগকারী সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে নামজারি করে দেওয়ার মৌখিক চুক্তিতে ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।

পরবর্তীতে ৩০/০৬/২৪ তারিখ ভুক্তভোগীর মোবাইলে মেসেজ আসে আবেদনটি সাকসেসফুল হয়েছে।

 

 

এদিকে, মোঃ মনির হোসেন ছাড়াও আরও অনেক ভুক্তভোগী একই ধরনের অভিযোগ করেছেন। তারা জানান, নিয়মিতভাবে ভূমি অফিসে জমি সংক্রান্ত কাজ করাতে গেলে, কর্মকর্তারা অর্থ দাবি করেন। টাকা না দিলে তাদের কাজ ফেলে রাখা হয় কিংবা নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়। এক ভুক্তভোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা নিয়ম মেনে জমির কাজ করাতে গেলে, এমন হয়রানির শিকার হতে হয়। টাকা না দিলে কোনো কাজই ঠিকভাবে হয় না।”

 

স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, “এই দুর্নীতির কারণে আমরা আমাদের ন্যায্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। সরকারি কর্মকর্তাদের এমন আচরণে আমরা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।” তারা দুর্নীতির বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে মনোহরদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব মিয়া জানান, “অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের পর বিষয়টি নিয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

 

স্থানীয়রা আশাবাদী, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং দুর্নীতির অবসান ঘটিয়ে জনসাধারণের ন্যায্য সেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করবে।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ মনির হোসেন মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘুষ নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত