শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
নরসিংদীতে জমি বিক্রির কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ নুরুদ্দিন গং এর বিরুদ্ধে।
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি।
নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের নবীপুর জমি বিক্রির কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ।
জমি রেজিস্ট্রি না করে উল্টো ক্রেতাদের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে নরসিংদী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
নরসিংদী মডেল থানায় অভিযোগ থেকে জানা যায় ২০/০১/২৫ তারিখ নজরপুর ইউনিয়নের নবীপুর এলাকার ইয়াসিন স্বামী রুহুল আমিন, নুরুদ্দিন নুরু পিতা ইয়ার হোসেন, শাহিন পিতা নবী।সৌদি প্রবাসী তাসলিমা দিলালপুর মৌজার ৬২৪৯নং দাগ আর এস ৬৬০২ বিআরএস ৯৩৪৫ এর ১৭ শতাংশ হইতে থেকে ৫ শতক জমি ক্রয় করার জন্য ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা বায়না করেন। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে সেটি লিখিত স্ট্যাম্প করা হয়। জমিটির মোট মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৪ লাখ টাকা।
এরপর জমি রেজিস্ট্রি করতে চাইলে টালবাহানা শুরু করেন প্রতারক নুরুদ্দিন ও তার সহযোগীরা। রেজিস্ট্রির দিন ধার্য করা হলে জমি রেজিস্ট্রি না করে দিয়ে তালবাহানা শুরু করে। জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে বললে জমি রেজিস্ট্রি করে দিবে না বলে জানালে ভুক্তভোগীর পরিবার টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা দিবে না বলে হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী তাসলিমার মা নোমেলা বেগম @অভিযোগ করে বলেন, আমরা উপায় না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। অভিযোগ দায়েরের পর থেকে আমাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।
অভিযুক্ত শাহীন তাঁর পরিবারের লোকজন নিয়ে শাপলা চত্বরে বসবাস করা তাসলিমা মার বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায় হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।আমরা চাই আমাদের ন্যায্য দাবি বাকি টাকা নিয়ে আমাদের জমি রেজিস্ট্রি করে দিক।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইয়াসমিন, রুহুল আমিন,নুরুদ্দিন, শাহীন জানান আমরা টাকা নিয়েছি সত্য কিন্তু টাকা তাসলিমার স্বামী রতনের হাতে ফেরত দিয়েছে।
তাসলিমার মা নোমেলার বেগম বলেন, আমরা টাকা দিয়েছি নুরুদ্দিন শাহিন তাদের হাতে আমরা গরীব মানুষ আমাদের টাকা আত্মসাৎ করতে তারা নাটক শুরু করেছে। মাসিক কিস্তিতে টাকা উত্তোলন করে জমির বায়না দিয়েছি উক্ত টাকা ফেরত না পেলে আমাদের মৃত্যু ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক তাৎক্ষণিক নজরপুরের বিট পুলিশ এসআই বিল্লালকে দ্রুত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ দেন।
এসআই বিল্লাল জানান ওসি মহোদয়ের ফোন পাওয়ার সাথে সাথে পরের দিন ভোর সকালেই আমরা দুই পক্ষকে থানায় ঢাকায় এবং সঠিক মীমাংসার চেষ্টা চলছে।