শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন
দিনাজপুর হাবিপ্রবিতে ৩১ দফা দাবী নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময়
———————————————-
মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি \
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষা ব্যতীত কোনো জাতি সামনে এগুতে পারে না। যে জাতির কাছে শিক্ষা নেই, সেই জাতি সম্পদের দিক দিয়ে যতই ধনী হোক না কেন তারা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। আবার অনেক জাতি রয়েছে যারা সম্পদের দিক থেকে অতটা ধনী না হওয়া সত্তে¡ও শিক্ষায় এগিয়ে থাকার বদৌলতে বিশ্ব দরবারে সর্বোচ্চ আসন দখল করে আছে। এতে বুঝা যায়, ধন-সম্পদের দিক দিয়ে একটি জাতি যেমনি হোক না কেন? ধনী কিংবা দরিদ্র, উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে হলে অবশ্যই সেই জাতিকে শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বিদায়ী স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে পুনরায় সেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে মানসম্মত করা হবে। আওয়ামীলীগ লুটপাটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিল ফলে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্বদরবারে মাথা উচু করে দ্বারাতে পারেনি। ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ৩১ দফা দাবী নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথা বলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জাকির উদ্দিন।
শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে ৩১ দফা তুলে ধরা হয়, সংবিধান সংস্কার কমিশন, জাতীয় সমন্বয় কমিশন, নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা নির্ধারণ, আইন সভায় উচ্চকক্ষের প্রবর্তন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করনে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন, জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল, কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন, প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন, মিডিয়া কমিশন গঠন, দূর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ন্যায়পাল নিয়োগ, সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন, ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা প্রদান, মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় শ্রমের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা, শিল্প, বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি খাত আধুনিকায়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা, জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা, বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলি স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান, আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন, নারীর ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা, ‘‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’’ এই নীতির বাস্তবায়ন করা হবে, কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, সড়ক, রেল, নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদী শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশ বান্ধব আবাসন এবং নগরায়ণ নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বি হাসান, সাঈদুল ইসলাম, দিনাজপুর হাবিপ্রবি ছাত্রদল আহ্বায়ক পলাশ বার্নাট দাশ ও সদস্য সচিব মো. ফরহাদসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ