শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
জমকালো আয়োজনে সাপ্তাহিক আজকের চেতনার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ১৪ জন আটক দিঘলিয়ায় মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ২ যশোরের শার্শায় খেজুরের রস সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা যশোরের শার্শায় “স্বস্তির বাজার” উদ্বোধণ করলেন ইউএনও ভালুকার মাদক সম্রাট রায়হান, আকিব ও ফাহিম গ্রেফতার কয়রায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ভালুকায় মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ যশোরের বেনাপোল মুক্ত দিবস আজ প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যে বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর-বিএনপি নেতা আলহাজ্ব হাতেম খান।

দিঘলিয়া ঠাকুর বাড়ির মন্দির ও ঘোষ পাড়া মন্দিরের জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব, পাল্টা- পাল্টি অভিযোগ।

১০ গজের ভিতর দুই মন্দির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

দিঘলিয়া ঠাকুর বাড়ির মন্দির ও ঘোষ পাড়া মন্দিরের জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব, পাল্টা- পাল্টি অভিযোগ।

এস.এম.শামীম দিঘলিয়া খুলনা।
খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলায় সদর ইউনিয়ন এর ১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত প্রায়ত কালিপদ চক্রবর্তী (কালি ঠাকুর) তিনি একজন সুনামধন্য সামাজিক ব্যক্তি ছিলেন, জীবদ্দশায় অসংখ্য মানুষের সেবা করেছেন, হাজার হাজার নারী, পুরুষ এসেছেন সেবা পাওয়ার জন্য, সাধ্যমত সেবা দিয়েছেন কালিপদ ঠাকুর জীবদ্দশায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি। ঠাকুরের মৃত্যুর পর স্থল ভিত্তি  হন ঠাকুরের বড় ছেলে দেব চক্রবর্তী (দেবু ঠাকুর) তিনিও সাধ্যমত সেবা প্রদান করছেন, তার বিরুদ্ধে কোন অনিয়মের  অভিযোগ পাওয়া যায়নি। দেবু ঠাকুরের অনুপস্থিতিতে তার ছেলে গোলক চক্রবর্তী (গোলক ঠাকুরকে) দেখা যায় সেবা নিতে আসা রোগিদের ঝাড় ঝাড় ফুঁক (তদবির) প্রদান করছেন।
ঠাকুর বাড়িতে বহু পুরাতন  একটি পূজা মন্দির অবস্থিত ,ঠাকুর বাড়ির উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে প্রতি বৎসর ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হয়।
পাশেই ঘোষপাড়া, ঠাকুর বাড়ির পূজা মন্দির থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে তৈরি হয়েছে আরো একটি ঘোষপাড়া সর্বজনীন পূজা মন্দির। সনাতন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয় হচ্ছে মন্দির।
সেই মন্দিরকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে দুটি পক্ষ। ঘোষপাড়ার যে জায়গায় মন্দির তৈরি হয়েছে সেই জায়গার দাবিদার ঠাকুর বাড়ির ওয়ারিশ গন।
অপরদিকে ঘোষপাড়ার সর্বজনীন পূজা মন্দিরের জায়গার দাবিদারেরা বলেছেন তাদের ক্রয় ক্রিত সম্পত্তি , ঐ এলাকার প্রভাবশালী জ্ঞানের প্রদিপ সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যক্তি ডক্টর বাসুদেব ঘোষ, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক, তিনি নিজ উদ্যোগে নিজের অর্থায়নে তৈরি করেছেন ধর্মীয় উপাসনালয় মন্দির, তৈরি করছেন সরকারি অনুদানে বহুতল ভবন। উক্ত মন্দিরের জায়গা জমি নিয়ে  দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে ঠাকুর বাড়ির দাবি উক্ত যায়গা তাদের  পৈত্রিক।
ঘোষপাড়ার দাবি তাদের ক্রয় কৃত সম্পত্তি। উক্ত জায়গা জমির দন্ধ  নিষ্পত্তির জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ- ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সর্বশেষ আদালতে মামলা দায়ের করেন উভয় পক্ষ। উক্ত যায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে হয়রানি মূলক পাল্টা পাল্টি মামলা করেন দুই পক্ষ , মামলা থেকে রেহাই পাননি নারী ও বৃদ্ধরাও। একপক্ষ অপর পক্ষের সিমানা (বেড়া) ভেঙে দিচ্ছেন, অন্য পক্ষ জোর করে সিমানা বেড়া দিচ্ছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। ধর্মীয় উপাসনালয় নিয়ে যদি এতো দ্বন্দ্ব ফেসাদ হয়, তাহলে বসবাস করা ঘর অথবা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান তৈরি হলে কি- ধরনের অঘটন  ঘটাতো তা অনুমান করা যায় , এই সনাতন ধর্মের মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিভেদ। এই সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য  দিঘলিয়া উপজেলার গনমাধ্যমে কর্মী (সাংবাদিকরা) ছুটে যান।  উভয় পক্ষের পাল্টা পাল্টি অভিযোগ করেন সত্যতা যাচাই করে খুলনা জেলার স্থানীয় ২/৩ টা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর নড়ে চড়ে বসেন ঠাকুর বাড়ির পক্ষ।  খুলনা শহর ও অন্য জায়গা থেকে সাংবাদিক এনে তাদের সামনে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে। মোটা অংকের অর্থ দিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে ,যে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই পত্রিকা কোথ থেকে এলো, সম্পাদক কে কোথা থেকে ছাপা হয়, এই পত্রিকা কেউ দেখে ও নাই ,নাম কোনো দিন কেই শোনে নাই।
অনুমান করা হচ্ছে যে, কম্পিউটারে অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ কাটিং বসিয়ে, ফটোকপি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে।  ঘোষপাড়া সর্বজনীন মন্দিরের সামনে ফাঁকা যায়গায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান উৎযাপনের জন্য ডঃ বাসুদেব ঘোষ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণের অনুমোদন ও অর্থ অনুদান পান। ভবন নির্মাণের কাজ  শুরু  হতেই বিপত্তি। উক্ত নির্মাণ কাজ শুরু হতেই ঈর্ষান্বিত হয়ে অসাধু সাংবাদিক দের সহযোগিতায় গোলক ঠাকুর নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে, উক্ত জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে জানিয়ে একটি অভিযোগ পত্র ও  প্রকাশিত ভুয়া সংবাদের ফটোকপি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরে জমা দেন। উপজেলা প্রকৌশলী উক্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। দিঘলিয়া উপজেলায় ঠাকুর বাড়ির মন্দিরের জায়গা ও ঘোষপাড়া পুজা মন্দিরের জায়গা জমি নিয়ে  অন্তদন্দ থেকে শুরু হয়ে রুপ নিয়েছে প্রকাশ্যে। এই দ্বন্দ্বের অবসান কোথায় –?. এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী এই ধর্মীয় উপাসনালয় নিয়ে পানি ঘোলা না করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে জার যার জায়গায় ধর্মীয় উপাসনালয় মন্দির প্রতিষ্ঠা হক। উক্ত যায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে সকলে যে রায় হোক মেনে নিবেন দুই পক্ষ। উক্ত নির্মাণ কাজ যদি একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে ঐ বরাদ্দ কৃত অর্থ জমা হয়ে যাবে সরকারি কোষাগারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত