বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা। ৫ আগষ্টের পর তার বিরুদ্ধে এ নিয়ে ৩টি হত্যা মামলা হয়েছে ঘোড়াঘাটে আ্ইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক : থানা থেকে সরিয়ে নেয়া হলো সেনা সদস্যদের। ভালুকায় সাবেক ইউপি সদস্যের বিচার দাবিতে মানববন্ধন  দিঘলিয়ার গাজীরহাট ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও হত্যা চেষ্টা মামলা দিনাজপুরে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মতবিনিময় ও করনীয় সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত। শার্শায় বিএনপি’র ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলায় দুই কিশোরের নামে চার্জশিট নরসিংদীতে মৎস্যজীবী লীগের সদস্য লিজন মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। দিঘলিয়ায় ওয়াল্টন ও সিঙ্গার শোরুমে লুটপাট এর ঘটনায় অভিযোগ দায়ের। যশোরের শার্শায় ছাত্রলীগ নেতা মফিজ ফেন্সিডিলসহ আটক

ঝিকরগাছায় স্ত্রীর ওপর অভিমান করে শিশুকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা!

ঝিকরগাছায় স্ত্রীর ওপর অভিমান করে শিশুকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা!

মনির হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধি:-

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর ওপর অভিমান করে আয়মান হোসেন নামের ১১ মাসের শিশুকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামী ইমামুল হোসেন (২৮) আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। নিহত ইমামুল ঝিকরগাছা শরীফপুর গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে।

রোববার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১০টার দিকে নিজ বসতঘরের ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ইমামুল আত্মহত্যা করেন।

স্থানীয়রা জানান, ইমামুল দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকতেন। তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে (২৩) বাবার বাড়িতে যেতে দিতেন না। এ নিয়ে মমতাজ ও ইমামুলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইমামুলের স্ত্রী মমতাজ জোরপূর্বক শিশু আয়মানকে তার বাবা ইমামুলের কাছে রেখে বাবার বাড়ি হাড়িয়া গ্রামে চলে যান। শিশু বাচ্চাটি দুধের জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। কান্না থামাতে না পেরে বাবা ইমামুল শিশু আয়মানকে গলাটিপে হত্যা করে। এরপর ইমামুল রাতের কোনো একসময় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ইমামুলের মা রহিমা বেগম বলেন, গতকাল আমার পুত্রবধূ মমতাজ বেগম আর ছেলে ইমামুলের মধ্যে বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে গণ্ডগোল করে। একপর্যায়ে ছোট্ট শিশুটিকে ফেলে রেখে মমতাজ বাবার বাড়িতে চলে যায়। দিনের বেলায় আমি নাতিকে খাওয়াদাওয়া করিয়ে কোনোরকম রেখেছিলাম। রাতে আমার নাতিকে নিয়ে আমার ছেলে ইমামুল ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলের মরদেহ ঘরের মধ্যে রশিতে ঝুলছে। পাশে বিছানায় আমার নাতি আয়মানের মরদেহ পড়ে আছে।

এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে ইমামুল আত্মহত্যা করেছে। ইমামুলের ঘরে তার ছোট্ট শিশুসন্তান আয়মানকেও মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীর ওপর অভিমান করে শিশুটিকে রেখে তার মা মমতাজ বেগম বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ায় তিনি বাচ্চাটিকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।#

 

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত