সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
উদ্বোধনের অপেক্ষায় যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন রেল সেতু। শার্শায় জামায়াত কর্মিকে পিটিয়ে জখম, প্রতিবাদে বিক্ষোভ জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ মাধবদী পৌর শাখা কমিটি গঠন। শার্শায় আনোয়ার ফিলিং স্টেশনের মালিকের বিরুদ্ধে জাল এফিডেভিডের অভিযোগ শার্শায় ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে এক সাইকেল আরোহি নিহত ভালুকায় সেনাবাহিনীর হাতে দুই মাদক কারবারি আটক। দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত দিঘলিয়ায় বীজ ও সার সরবরাহ কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন। নরসিংদী সদর হাসপাতালের বড়বাবু আওয়ামী লীগ নেতা মনসুর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মূর্তিমান আতঙ্ক নরসিংদী চরদীগলদী ইউনিয়নের এম এ জামান ফকির পদে না থেকেও দলের জন্য এক নিবেদিত প্রাণ।

ঘোড়াশাল হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর সাড়ে তিন লাখ টাকায় রফাদফা।

ঘোড়াশাল হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর সাড়ে তিন লাখ টাকায় রফাদফা।

আর এ লায়ন সরকার, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি।

নরসিংদীর পলাশে ঘোড়াশাল হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে নিহতের স্বজনরা। ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় চিকিৎসকসহ কর্মকর্তারা।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরমিনা বেগম ঘোড়াশাল শান্তানপাড়া গ্রামের সরকারি আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী অটোরিকশা চালক মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী।

নিহতের স্বামী মাহফুজ মিয়া জানান, ভোরে তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে সকাল ৭ টায় ঘোড়াশাল হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে প্রথমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা চালানো হয়। পরে বেলা ১০ টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিজার করতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। সেখানে ভুলভাবে এ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের কারণে স্টোক করে তার স্ত্রী মারা যায়। মারা যাওয়ার পরও প্রায় ১ ঘণ্টা তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তান জীবিত ছিল। কিন্তু ডাক্তাররা অবহেলা করে তাকেও বাঁচানোর কোন চেষ্টা করেনি।

এদিকে ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তারা। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় স্বজন ও এলাকাবাসী। একই সাথে হাসপাতালের পরিচালক ডা. তানভীর কবিরকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধরা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে পলাশ থানা পুলিশ। এসময় বিক্ষুব্ধ স্বজনরা দ্বায়িদের শাস্তির দাবি জানান।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ঘোড়াশাল হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে পূর্বেও ভুল চিকিৎসায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. তানভীর কবির অনেক সময় সিজার অপারেশনের রোগীদের গাইনী সার্জন দিয়ে অপারেশন না করিয়ে নিজেই অপারেশন করতেন।

এ প্রসঙ্গে বিষয়ে নরসিংদী সিভিল সার্জন সৈয়দ মো. আমিরুল হক জানান, হাসপাতালে মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করতে পলাশ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৃত্যুর বিষয়ে বিকাল ৫ টার দিকে ঘোড়াশাল বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার তানভীর আহমেদের আবুল কাশেম স্থানীয়দের নিয়ে মামলা না করার শতে’ সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় রফাদফা করেন নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে। ডাক্তার তানভীরের শশুর আবুল কাশেম বলেন রোগীর প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় সিজার করার আগেই রোগী হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে।

পলাশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত